গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর কর্মী-সমার্থদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পল্টন মোড়ে দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জাড়ান।
সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম বলেন, “একটি ইসলামী মাহফিলকে কেন্দ্র করে মূলত জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমার্থদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের আট থেকে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
এলাকাবাসী জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে একটি ইসলামী মাহফিলের আয়োজনে অতিথি করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার পল্টন মোড়ে জামায়াত ও বিএনপির কর্মী-সমার্থদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, “৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপিতে যোগদান করা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদকে একটি ইসলামী মাহফিলে অতিথি করেন জামায়াতের আয়োজকরা। সেখানে উপজেলা বিএনপির প্রকৃত কোনো নেতাকে অতিথির তালিকায় রাখা হয়নি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপকে মারধর করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে জেলা বিএনপির নেতারা থানায় গেছেন।”
সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইব্রাহিম হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।