খেলাধুলা

বিপিএল ‘সহজ করার চেষ্টায়’ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে বিসিবির ছাড়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হতে বাকি ৯ দিন। এখন পর্যন্ত কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ব্যাংক গ্যারান্টির অর্থ পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে এবং টাকার অঙ্ক কমিয়েও মিলছে না সুরাহা।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ওপর যাতে চাপ না হয়, তাদের জন্য বিপিএলে আয়োজন সহজ হয় সেই ব্যবস্থা করছে বিসিবি, দেওয়া হচ্ছে ছাড়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যুতে কথা বলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ।

“আমাদের দেশে এখন অর্থনৈতিকভাবে কঠিন একটা পরিস্থিতি। এটা আমরা সবাই জানি, যেহেতু সবাই বাংলাদেশে থাকি। সেজন্যই কিন্তু ব্যাপারগুলো আসলে আমরা সময় বাড়াচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের উদ্দেশ্যপূরণ হোক এবং বিপিএলের দলগুলোর ওপরেও যেন বাড়তি চাপ না হয়।”

প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে দিতে হয় ৮ কোটি টাকা। সেটি পরবর্তীতে অর্ধেক করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর আরও ১ কোটি কমিয়ে ৩ কোটি টাকা করা হয়। সময় দেওয়া হয় এক সপ্তাহ। এর আগে সময় ছিল ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

“আমরা অবশ্যই সময় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করব যেন তাদের থেকে ব্যাংক গ্যারান্টিটা নিয়ে যেতে পারি। পাশাপাশি আমরা ব্যাংক গ্যারান্টির অঙ্কও কমিয়েছি এই আর্থিক পরিস্থিতির কারণেই। এখন খুব কঠিন।”

“স্পন্সরের ক্ষেত্রে বোর্ড পর্যায়ে হোক বা দল মালিক পক্ষই হোক, কাজটা কিন্তু সহজ হচ্ছে না। সব বিবেচনায় এনে আমরা এবার একটু সব দিক সহজ করার চেষ্টা করেছি”-যোগ করেন ফারুক।

ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়া হয় মূলত ক্রিকেটারদের অর্থ পরিশোধের জন্য। অর্থ্যাৎ কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক অর্থ পরিশোধ না করতে পারে তাহলে ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে সেটি বিসিবি পরিশোধ করে দেয়। গত আসরের কয়েক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের টাকা বুঝিয়ে দেয়নি। সেটি এখন দিচ্ছে বিসিবি।

কিন্তু এখন যদি ব্যাংক গ্যারান্টির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে ক্রিকেটারদের অর্থ পরিশোধে কোনো জটিলতা তৈরি হবে কী না?

ফারুক বলেন, “যে দলগুলো এবার নেই, তাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের টাকা বোর্ড দিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ টাকা আমরা দিয়েছি। এটা গত আসরের পারিশ্রমিকের কথা বলছি। এটা আসলে ধাপে ধাপে বোর্ডের ওপরে বর্তায়। যেটা আমরা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে সিদ্ধান্ত নেব যে কী হবে।”