কল-কারখানার বর্জ্যে বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত ও দূষিত পানি থেকে বাঁচতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন গাজীপুরের ঝাজড় এলাকার বাসীন্দারা। দূষিত পানির কারণে ফসল হচ্ছে না, এলাকার অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ঝাজড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এলাকায় সর্বস্তরের জনগণ। এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত পরিত্রাণের জন্য পরিবেশ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে নগরীর ১৫, ১৭, ও ৩২নম্বর ওয়ার্ডসহ কয়েকটি ওয়ার্ডের উপর দিয়ে মোগড়খালটি প্রবাহিত হয়েছে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খালটি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে প্রবাহিত হয়ে টঙ্গী খালে গিয়ে শেষ হয়েছে। খালটির সূচনা স্থান থেকেই দূষণের শিকার হয়ে আসছে। মহানগরীর ভোগড়া ও আশাপাশের এলাকার বিভিন্ন কলকারখানা, বাসাবাড়ি ও বাজরের দূষিত পানি এ খালটি দিয়ে প্রবাহিত হয়।
খালটির পাশে যারা বসবাস করেন এ খালের দূষিত পানির ঝাঁঝালো গন্ধে বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। খালপারের কোনো জমিতে ফসলাদি হয় না। গৃহপালিত প্রাণিও লালন পালন করা যায় না। খালের পাড়ে বসবাসকারী শিশু-নারী-পুরুষ ও সাধারণ মানুষের নানা প্রকার রোগ বালাই লেগেই থাকে। তাই দূষণে অতিষ্ট এলাকার মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।
গ্রামবাসী রাসেল ব্যাপারী বলেন, “খালটির দূষণে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হয়। দিনের বেলায় দুর্গন্ধ কিছুটা কম থাকলেও রাতে দুর্গন্ধ বাড়ে। দিনে এবং রাতে প্রচুর মশা দেখা যায়। এসব মশা থেকে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে প্রতিদিন। পানি এতই কালো যা ব্যবহার অনুপযোগী। কৃষকরা সেচ কাজেও এ খালের পানি ব্যবহার করতে পারেন না।”
মানববন্ধনে এলাকার শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। এতে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকদল নেতা আক্তারুজ্জামান বাবুল, হাজী মুজিবুর রহমান, হাজী মো. নওয়াব আলী, আব্দুর রশিদ, আব্দুর রহিম, মো. সেলিম মিয়া, আবু হানিফ প্রমুখ।