ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবিতে লোড-আনলোড শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ শ্রমিক। আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন হামলা ও আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার বাসস্যান্ডে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, লোডা-আনলোড শ্রমিক সফিকুর রহমান, ইসমাঈল শেখ, নূরুল ইসলাম, নাসির, আইয়ুব আলী, শফিক, জুয়েল, রফিক, শরিফ, লালন সরদার, আল আমিন, আলিম এবং আতর আলী। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লেবার সর্দার বাবুল মিয়া বলেন, ‘‘আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুরের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে সমির নামে এক ব্যক্তি মাসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর আগেও হামলা চালিয়েছে। লেবাররা দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে। ভয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়নি।’’
বাবুল মিয়ার অভিযোগ শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সমিরের নেতৃত্বে সজল, সোলেমান, রেজাউলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০-৫০ জন তাদের ওপর হামলা চালায় এবং কুপিয়ে, পিটিয়ে তাদের প্রায় ১৩-১৪ জন শ্রমিককে আহত করে।
এ সময় হামলাকারীরা শ্রমিকদের বিল বাবদ রাখা প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর বলেন, ‘‘সমির নামে আমার কোনো ভাগ্নে বা আত্মীয়-স্বজন নেই। এটা সম্পূর্ণ গুজব।’’
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাওন বড়ুয়া বলেন, ‘‘এখানে ছয়জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। কারো পায়ে কোপানোর দাগ রয়েছে, কারো জয়েন্টে মারাত্মক জখম রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। তিন জনের অবস্থা গুরুতর। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হবে।’’
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মূলত বলিভদ্র স্ট্যান্ড দখল-বেদখল নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের মারধর করে উঠিয়ে দিয়ে হামলাকারীরা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’