ক্যাম্পাস

বড়লেখা সীমান্তে চা শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে চা শ্রমিক গোপাল বাগতি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের চা বাগান ইউনিট।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের চা বাগান ইউনিটের বলরাম রিকমুনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে চা শ্রমিক গোপাল বাগতি নিহত হন। এ ঘটনা দেশের সমগ্র চা শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। চরম মজুরি বৈষম্যের শিকার এই চা শ্রমিকরা এমনিতেই সমস্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্ছিত। উপরন্তু সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া বিএসএফের গুলিতে শ্রমিক হত্যার পর এ কথা আরো স্পষ্ট। নাগরিক হিসাবে আমাদের ক্ষুধা ও মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্র ভাবছে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিগত সময়ে কিশোরী স্বর্ণা দাসসহ বেশকিছু  হত্যাকাণ্ডের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি ও সাময়িক আষ্ফলনের বাইরে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করা, বারবার হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টিকে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করার বিশেষ কোন উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল চা বাগান ইউনিটের পক্ষ থেকে স্পষ্ট হুশিয়ারী দিয়ে বলা হয়, সীমান্তে নাগরিক হত্যার সুষ্ঠু প্রতিকার না হলে এবার চা শ্রমিকরা সীমান্তে হত্যার বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে। সরকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে কার্যকর জবাবদিহিতা আদায় করতে না পারলে, দেশের জনগণ রাজপথে নেমে সেটা আদায় করবে।