রাজধানীতে ছিনতাই রোধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানের প্রথম দিনে (২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৯৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে লালবাগ বিভাগে সব থেকে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রমনা বিভাগে ৮ জন, মতিঝিল বিভাগে ১৪ জন, লালবাগ বিভাগে ২৬ জন, ওয়ারী বিভাগে ১০ জন, তেজগাঁও বিভাগে ১৯ জন, মিরপুর বিভাগে চারজন, উত্তরা বিভাগ ৮ জন ও গুলশান বিভাগে চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘‘ঢাকার ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে কারা ছিনতাই করে তাদের চিহ্নিত করছি। তাদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ফুট পেট্রোল, গাড়ি পেট্রোল এবং মোটরসাইকেল পেট্রোল অব্যাহত রয়েছে। এখন শীতের রাত, গভীর রাতেও ছিনতাই হচ্ছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার যেসব গাড়ি ঢাকায় আসছে সেসব গাড়ির যাত্রীদের থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।’’
মোবাইল পেট্রোলগুলো যেন ঠিকঠাক কাজ করে— এজন্য পুলিশের প্রত্যেক বিভাগের ডিসি, এডিসি ও এসিকে নজরদারি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক রাতে তারা গাড়ি নিয়ে মুভে থাকছে এবং তদারকি করছে। এছাড়া ডিএমপি কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়ারলেসে পেট্রোগুলোর লোকেশন নেওয়া হচ্ছে এবং তারা সজাগ আছে কি না সেটিও তদারকি করা হচ্ছে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও যারা ছিনতাইয়ের কাজে অভ্যস্ত, তাদের কোর্টে চালান করার পর সহজেই তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে আসছে এবং আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এসব ছিনতাইকারী যেন সহজে জামিন না পায়— এজন্য কোর্ট বা সংশ্লিষ্ট বিচারকদের অনুরোধ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।