রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওবায়দুল্লাহ ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বালুখালী এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বালুখালী এলাকায় ওবায়দুল্লাহকে কোপানো হয়।
নিহত ওবায়দুল্লাহর ছেলে মো. আরিফ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমার বাবা সোমবার রাতে নিজের দোকান বন্ধ করে কারিগরপাড়া বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে তাকে কোপানো হয়। এ ঘটনায় আমার দাদার পালিত ছেলে মেহেদি জড়িত। তিনি এক বছর আগে আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে, আমার বাবাকে দিনে না পারলে রাতে মেরে ফেলবে।”
তিনি আরও বলেন, “ওই রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে আমার বাবা মারা যান।”
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেছেন, “সোমবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে রাইখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় ওবায়দুল্লাহকে কুপিয়ে জখম করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর সিদ্দিকী বলেছেন, “সোমবার রাতে রাইখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওবায়দুল্লাহ রাতে কারিগরপাড়া বাজারে দোকান বন্ধ করে নিজ এলাকা বালুখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। বালুখালী দুর্গম এলাকা। হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, আমরা এখনো জানতে পারেনি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, ওবায়দুল্লাহর লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”