সাত বিভাগীয় দল এবং ঢাকা মেট্রোকে নিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা। আট দলের অংশগ্রহণে, ৩২ ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছে রংপুর বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোকে ৫ উইকেটে হারিয়ে রংপুর বিভাগ শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠে। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচটি উত্তাপহীন থাকলেও বাকি প্রায় সবগুলো ম্যাচে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ছিল ভারসাম্য।
সেরার লড়াইয়ে রংপুর সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ঢাকা মেট্রোকে পিছিয়ে রাখার উপায় ছিল না। সাতটি ম্যাচ জিতে তারা সেরা চার নিশ্চিত করেছিল। রংপুর প্রথম পর্বে জিতেছিল পাঁচ ম্যাচ। পরবর্তীতে দুই দলের প্রথম কোয়ালিফায়ারের দেখায় রংপুর ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। ঢাকা পরবর্তীতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা বিভাগকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোও। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে শেষ হাসিটা হেসেছে রংপুর।
চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে শিরোপার সঙ্গে প্রাইজমানি দিয়েছে আয়োজকরা। সঙ্গে সেরা খেলোয়াড়রাও পেয়েছেন স্বীকৃতি। ১০ ইনিংসে ৩১৬ রান করে ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক ও ওপেনার নাঈম শেখ হয়েছেন সেরা ব্যাটসম্যান। যেখানে তার গড় রান ৩১.৬০। স্ট্রাইক রেট ১৩৫.০৪।
বোলিংয়ে ১৯ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হয়েছেন রংপুরের পেসার আলাউদ্দিন বাবু। ফাইনালে ৩ উইকেট নিয়ে তিনে পেছনে ফেলেন চট্টগ্রামের পেসার আহমেদ শরিফকে। বাবুর বোলিং ইকোনমি ছিল ৫.৫০। গড় ছিল ৯.৮৪।
এছাড়া অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন আবু হায়দার রনি। ঢাকা মেট্রোর এই খেলোয়াড় ব্যাটিংয়ে ১২৩ রান করেছেন, ১৬৪ স্ট্রাইক রেটে। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এছাড়া বোলিংয়ে ১৩ উইকেট পেয়েছেন, ৬.০৬ ইকোনমিতে। যেখানে তার গড় ছিল ১৬.৩১।
শুধুমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে গড়ান এই প্রতিযোগিতা বেশ আলো ছড়িয়েছে। বিপিএলের আগে বাড়তি ‘রঙ’ দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএল।