বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়ক, অভিনেতা শান মুখার্জির আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে ভবনটির সপ্তম তলায় আগুন লাগে। এসময় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভবনটির ১১ তলায় ঘুমাচ্ছিলেন এই গায়ক।
প্রিয় গায়কের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শানের ভক্ত-অনুরাগীরা। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই গায়ক। এ আলাপচারিতায় পুরো ঘটনাই বর্ণনা করেছেন এই সংগীতশিল্পী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শান বলেন, “রাত সাড়ে ১২টার দিকে সপ্তম তলায় আগুন লাগে। আমরা তখন ঘুমাচ্ছিলাম। রাত ১টার দিকে ঘুম ভাঙে। ততক্ষণে সপ্তম ও অন্যান্য তলার বেশিরভাগ মানুষ নিচে নেমে গিয়েছেন। আমাদের ছাদে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ছাদের গেটে তালা ছিল। আবার ধোঁয়াও ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই আমরা ১৪ তলায় প্রতিবেশী মিসেস কাজীর বাসায় আশ্রয় নিই। দুর্ভাগ্যবশত, উনারাও আটকে গিয়েছিলেন। আমরা প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে ছিলাম। এরপর দমকল বাহিনীর কর্মীরা আমাদের উদ্ধার করে।”
শান ও তার পরিবারের সদস্যরা ঠিক আছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে এই গায়ক বলেন, “আগুনে সপ্তম তলা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ ও অষ্টম তলা আংশিক পুড়েছে। তবে ভবনের অন্যান্য তলা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আমাদের বাড়িও ঠিক আছে; আমরাও ঠিক আছি।”
উদ্যোক্তা রাধিকা মুখার্জির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন শান। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে তিনিও কথা বলেন। রাধিকা বলেন, “আমরা ভালো আছি। আমাদের ছোট ছেলে মাহি তখন বাইরে ছিল। তবে সোহমই (বড় ছেলে) আমাদের ঘুম থেকে তোলে। আমাদের দুজন গৃহকর্মী এবং দুটি পোষ্যকেও উদ্ধার করতে হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক।”
আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাসার বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেন রাধিকা। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা প্রথমে সমস্ত মেইন সুইচ বন্ধ করি। ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট হ্রাস করার জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখি। আমরা তিনবার চেষ্টা করি উপরের তলায় উঠতে। তবে ১৫ তলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলাম। এত বেশি ধোঁয়া ছিল যে, এগোতে পারছিলাম না।”