সারা বাংলা

কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিনাজপুরের জনপদ। হিমশীতল বাতাসের কারণে  শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। কনকনে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সড়ক-মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না এজেলার মানুষ। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ।

সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯২ শতাংশ।

তিনি আরো জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়): ৯.৪, সৈয়দপুর: ১২.৮, রংপুর: ১৩.২, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): ১০.৭, ডিমলা (নীলফামারী): ১২.২, বদলগাছি (নওগাঁ) ১১.৮, বগুড়া: ১৩.৮, ঈশ্বরদী (পাবনা): ১৩.৬, রাজশাহী: ১৩.১, যশোর: ১৪.২, চুয়াডাঙ্গা: ১৪.৫ এবং শ্রীমঙ্গল (সিলেট): ১২.৮  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে জেলার বিভিন্ন সড়কে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।

 

গরম জামাকাপড় পরার পাশাপাশি চুলায় আগুন জ্বালিয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। শীতে জবুথবু হয়েও কাক ডাকা ভোরে অনেক শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন ফসলি মাঠে কাজ করছেন শ্রমিকরা।