ভ্রমণ

মেঘ-পাহাড় ছাড়াও যা দেখা যাবে রাঙামাটিতে

প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর অপূর্ব এক স্থান রাঙামাটি। এ জেলার নাম শুনলেই প্রথমেই হয়তো কল্পনাতে আসবে পাহাড় আর মেঘের সখ্য। তবে মেঘ-পাহাড় ছাড়াও অনেক কিছু দেখার রয়েছে এ জেলায়।

প্রকৃতি যেন এখানে নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে নিজেকে সাজানোর আর মানুষকে আকৃষ্ট করার। পাহাড়, হ্রদ ও ঝর্ণার এ শহর দেখতে প্রতি বছর লাখো পর্যটক আসেন। একদিকে সবুজ পাহাড় অন্যদিকে সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ মিলেমিশে একাকার করেছে বৈচিত্র্যময় রাঙামাটিকে। এ জেলায় রয়েছে বহু জাতির মানুষের বসবাস। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য দেখতে চাইলে আপনাকে রাঙাামাটি ভ্রমণ করতে হবে। রাঙামাটিতে ঘুরতে চাইলে সবচে বড় সুবিধা হচ্ছে সারাদিনের জন্য একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করলে অনায়াসেই সব পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়া যায়। ট্যুরিস্ট বোটগুলোর ভাড়া পড়বে ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। এতে ন্যূনতম ৫ জন থেকে ৫০ জন পর্যন্ত ঘুরতে পারবেন। এছাড়া, বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা লঞ্চে দুইশ থেকে আড়াইশ মানুষও ঘুরতে পারবেন। এক্ষেত্রে ভাড়া ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পড়বে।

 

ঝুলন্ত সেতু রাঙামাটির পর্যটনের আইকন ঝুলন্ত সেতু। রাঙামাটি শহরের শেষপ্রান্তে হ্রদের ওপর গড়ে উঠেছে ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ, ৮ ফুট প্রশস্ত। পর্যটকদের জন্য ১৯৮৬ সালে নির্মিত এই ব্রিজটি এখন ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ হয়ে উঠেছে। রাঙামাটিতে পর্যটকরা আসলে নিশ্চিত গন্তব্য ঝুলন্ত সেতুতে। দেশে এখন অনেক ঝুলন্ত সেতু গড়ে উঠলেও রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর আবেদন এখনো পর্যটকদের কাছে একটুকুও কমেনি। বরং দিন দিন এই স্থানটির আকর্ষণ আরো বেড়েই চলেছে। সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে নীলাভ কাপ্তাই হ্রদ ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

 

কাপ্তাই হ্রদ কাপ্তাই হ্রদ রাঙামাটির অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এর আয়তন ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার।  হ্রদটির সৌন্দর্য একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারণ করে। গ্রীষ্মে হ্রদ শুকিয়ে বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠে। বর্ষায় হ্রদ পানিভর্তি হয়ে উঠে আবার শীতে হ্রদটির নীলাম্বরী রূপ মাধুর্য ছড়ায়। যেন এক টুকরো সুইমিং পুল। রাঙামাটিতে পর্যটকরা আসলে ঝুলন্ত সেতু থেকে হ্রদে নৌবিহার করতে পছন্দ করেন। নৌবিহারের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি সুবলং যাওয়ার পথে দুই দিকের বিশালাকার পাহাড়ের সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা।

সুবলং ঝর্ণা রাঙামাটিতে বেড়াতে আসলে সুবলং ঝর্ণায় ঘুরতে না গেলে পুরো ভ্রমণই অপূর্ণ থেকে যাবে। প্রায় ৩০০ ফুট পাহাড়ের ওপর থেকে আঁচড়ে পড়া ঝর্ণার সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। সুবলং ঝর্ণার জলধারা দেখলে মনে হবে অঝোর ধারায় কেঁদে চলেছে পাহাড়। ঝর্ণার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আর অপূর্ব সুরের মূর্ছনা পর্যটকদের বিমোহিত করে। তবে ঝর্ণার পরিপূর্ণ রূপ দেখতে পাবেন কেবল বর্ষাকালেই। রাঙামাটি শহরের যেকোনো জায়গা থেকে নৌবিহারের মাধ্যমে সুবলং ঝর্ণায় যাওয়া যায়।

নির্বাণ নগর বৌদ্ধ মন্দির কাপ্তাই হ্রদের জলরাশির মাঝখানে নিবিষ্ট মনে দাঁড়িয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি নজর কাড়বে যেকোনো ভ্রমণপিপাসু মানুষের। কাপ্তাই হ্রদের একটি দ্বীপে এই বৌদ্ধ মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। মন্দিরের নামটি আরও বেশি সুন্দর, ‘নির্বাণ নগর বন বিহার’। বৌদ্ধ মন্দিরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ২৯ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতায় একটি বিরাট বুদ্ধ মূর্তি স্থানটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কাপ্তাই হ্রদ থেকে সুবলং যাওয়ার পথে দেখা মিলবে চমৎকার এই মন্দিরের।

 

পলওয়েল পার্ক রাঙামাটি জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে কাপ্তাই লেকের কোল ঘেঁষে তৈরি পলওয়েল পার্ক সৃজনশীলতার ছোঁয়ায় রাঙামাটির অন্যতম সেরা বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। বৈচিত্রময় ল্যান্ডস্কেপ, অভিনব নির্মাণশৈলী এবং নান্দনিক বসার স্থান পার্কটিকে দিয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর পদচারণার পলওয়েল পার্ক মুখর হয়ে উঠে। এখানে পিকনিকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর আধুনিক স্থাপনাশৈলীর অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই পার্কটি রাঙামাটির অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। শহরের জিরো কিলোমিটারে এর অবস্থান। এর পাশেই রয়েছে ডিসি বাংলো পার্ক এবং ডিসি বাংলো।

 

লাভ পয়েন্ট পলওয়েল পার্কটির অন্যতম আকর্ষণ ‘লাভ পয়েন্ট’, যা লাভ লক বা ভালোবাসার তালাখ্যাত ‘লাভ’ চিহ্নের একটি বিশেষ চরকি। ভালোবাসার বন্ধনকে চিরস্থায়ী করতে অনেকেই সঙ্গে করে একটি তালা নিয়ে আসেন এখানে। লোহা ও রড দিয়ে তৈরি বিশাল চরকির ভেতরে মানুষ তার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে বাহারি ডিজাইনের তালা ঝুলিয়ে চাবিটি হ্রদে ফেলে দেয়।

ফুরোমোন পাহাড় সাজেকে যে সৌন্দর্য দেখার জন্য আমরা ছুটে যায়, ইচ্ছে করলেই সেটা ফুরোমোন পাহাড়ে উঠে একই দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব। তবে ফুরোমোনে উঠতে হয় হেঁটে। রাঙামাটি শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ফুরোমোন পাহাড়। পাহাড়ের নামটি যেমন বাহারি, প্রাকৃতিক শোভায় এটি ততোটাই মনোরম। চাকমা ভাষায় ফুরোমন অর্থ ফুরফুরে মন। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে মন ফুরফুরে হয়ে যায় বলে নাম রাখা হয়েছে ফুরোমন।

এটির উচ্চতা ১ হাজার ৫১৮ ফুট। ট্রেকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় গেলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ। তবে পাহাড়ি রাস্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পাহাড়ি বাঁক, খাড়া পাহাড় আর খানাখন্দ পেরিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে গেলে দেখতে পাবেন অন্য এক পৃথিবী। ফুরোমনের চূড়া থেকে কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ নীলাভ জল, সবুজে ঘেরা পাহাড় আর বিস্তৃত আকাশ দেখে মনে হবে চোখের সামনে নেমে এসেছে স্বর্গপুরী।

আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক শহরের আসামবস্তি থেকে কাপ্তাই উপজেলার ১৮ কিলোমিটার সড়ক যেন মুগ্ধতায় ভরে দেয় পর্যটকমন। সড়কটির এক পাশে কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি অন্যদিকে সবুজ পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য যে কাউকেই বিমোহিত করে। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে যেসব পর্যটক রাঙামাটি ঘুরতে আসেন এক পলকেই তাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয় এই সড়ক। রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা বেশিরভাগ পর্যটক এবং স্থানীয়রা এই সড়কটি দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় যাতায়াত করেন।

এই সড়কটিকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে বেসরকারি পর্যটন স্পট বড়গাঙ, রাইন্যা টুগুন, বেরান্নে লেক এবং বার্গী লেক ভ্যালি। এই সড়কে রয়েছে বৌদ্ধদের ধর্মীয় গুরু ও পরিনির্বাণ প্রাপ্ত মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির জন্ম স্থানের স্মৃতি মন্দির। রয়েছে আদিবাসীদের গ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা। এছাড়া, সড়কের পাশে তৈরি করা হয়েছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস।

 

সাজেক জেলার অন্যতম পর্যটককেন্দ্র সাজেক। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেক রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়া এই দুটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট। আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়-এ কংলাক পাড়া অবস্থিত। সাজেকে মূলত লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরাদের বসবাস।

সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজের দারুণ মিতালী চোখে পড়ে। এখানে তিনটি হেলিপ্যাড বিদ্যমান ; যা থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা যায় । সাজেকে একটা ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হচ্ছে এখানে ২৪ ঘণ্টায় প্রকৃতির তিনটা রূপই দেখা মিলে। কখনো খুবই গরম, একটু পরেই হঠাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে ; মনে হয় যেন একটা মেঘের উপত্যকা। সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়ে যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া। কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড়,  কাড়ে।  

সাজেকের অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও সেখানে যেতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হয়ে যেতে হয়। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি শহর জিপ গাড়ি, মাহেন্দ্র, মোটরসাইকেল) করে সাজেকে যাওয়াই হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।

এছাড়া রাঙামাটি শহরের মধ্যে সেনাবাহিনী পরিচালিত আরণ্যক, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান রাজবন বিহার, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জাদুঘর, আসামবস্তি সেতু, রাঙামাটি পার্ক, রাঙামাটি চিড়িয়াখানা, শহীদ মিনার উল্লেখ্যযোগ্য।

জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দ্বীপভিত্তিক রিসোর্ট ও হাউজবোট রাঙামাটির পর্যটনে নতুন করে যোগ হয়েছে দ্বীপভিত্তিক রিসোর্ট ও হাউজবোট। শহরের আশপাশে বিভিন্ন দ্বীপে পর্যটন উদ্যোক্তারা বিভিন্ন মানের রিসোর্ট তৈরি করেছেন। প্রাকৃতিক পরিবেশে এসব রিসোর্টে থাকার পরিবেশটাই পুরোপুরি ভিন্ন রকমের। এসব রিসোর্টের ভাড়া ন্যূনতম চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা। শহরের অদূরে মায়াবী, রাঙ্গা দ্বীপ, নীলাঞ্জনা, রাইন্যা টুগুনসহ আরো বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে।

এছাড়া, দিনব্যাপী হাউজবোটেও কাপ্তাই হ্রদ ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি রাতেও এসব বোটে ঘুমানোর সুবিধা রয়েছে। জনপ্রতি কিংবা পুরো বোট নিয়ে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। জনপ্রতি হিসেবে ঘুরে দেখা এবং খাবারের খরচ ন্যূনতম দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে। রয়েল এডভেঞ্চার, ময়ুরাক্ষী, নীলাঞ্জনাসহ আরো বেশ কিছু হাউজবোট কাপ্তাই হ্রদে নিত্য চলাচল করে।

যেভাবে আসবেন রাঙামাটি আসতে হলে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ইউনিক, শ্যামলী, হানিফ, ডলফিন, সেন্টমার্টিন, হানিফ পরিবহনের এসি/নন এসি বাস পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে রাঙামাটির বাস ভাড়া জনপ্রতি ৯০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে, চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকেও রাঙামাটির সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। পাহাড়িকা বাস ৩০-৪০ মিনিট অন্তর অন্তর রাঙামাটির উদ্দেশে সরাসারি ছুটে চলে। আড়াই ঘণ্টা এই ভ্রমণের ভাড়া জনপ্রতি ১৮০ টাকা।

যেখানে থাকবেন পর্যটকদের জন্য রাঙামাটিতে ভালো মানের প্রচুর হোটেল রয়েছে। শহরেই ৫৩টি হোটেল রয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাঙামাটি আসলে ভালো। অগ্রিম বুকিং না দিলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। শহরের যেকোন জায়গায় নেমে হোটেল নেওয়া যেতে পারে। তবে শহরের বেশিরভাগ হোটেল রয়েছে রিজার্ভ বাজার এলাকায়। ভালো মানের হোটেলের মধ্যে হিল অ্যাম্বাসেডর, গ্রিন ক্যাসেল, স্কয়ার পার্ক, সোনার বাংলা উল্লেখ্যযোগ্য। রুম ভাড়া কাপল বেড ৮০০ টাকা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। এসি বা নন এসি সব ধরনের সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া, পর্যটন করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের একটি মোটেল রয়েছে, যেখানে ৮৮টি রুম রয়েছে। মোটেলে ১৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে রুম পাওয়া যায়।

যেখানে খেতে পারেন রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। শহরের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পাহাড়িদের রান্নার বিভিন্ন হোটেল রয়েছে। বিশেষ করে শহরের রাজবাড়ি এলাকা, স্টেডিয়াম মার্কেটে অনেক দোকান রয়েছে। এসব দোকানে পাহাড়িদের মুরগী কেবাং, ব্যাম্বো চিকেন, হ্রদের ছোটবড় মাছ, বিভিন্ন প্রকার সেদ্ধ সবজি, মরিচ ভর্তা, জুমের সবজিসহ নানান পদের বাহারি সব খাবার পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালের মধ্যে। এছাড়া, ঘুরতে গেলে হ্রদের পাশে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়িদের খাবারের দোকান আছে। পাশাপাশি বাঙালি খাবারও সব জায়গায় পাওয়া যায়।