প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশের জন্য একটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার পর সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট খুলে দেওয়া হয়। গেট খুলে দিলে বাইরে অপেক্ষমাণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করেন।
এর আগে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন ৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে আজ সকালে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
এদিকে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় সকাল ৯টার আগে থেকেই বিভিন্ন গেটের সামনে অবস্থান নেয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে নিরাপত্তার বিষয় সামনে রেখে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে সচিবালয়ের ৫নং গেট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ভবন, ওসমানী উদ্যান এবং খাদ্য ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিতরে প্রবেশের অপেক্ষা করছিলেন। পরে ৫নং গেট দিয়ে আগে নারী কর্মকর্তাদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাইয়ান মাহমুদ বলেন, “সকাল ৮টার দিকে সচিবালয়ের সামনে আসি। দীর্ঘ সময় ঢুকতে না পেরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভেতরে প্রবেশ করি।”
সচিবালয়ের সামনে মন্ত্রিপরিষদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় কীভাবে আগুন লাগল তদন্ত করা প্রয়োজন। কেউ নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগাতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “সাত নম্বর ভবনের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু দপ্তর পুড়ে গেছে। এখানে বিগত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাদের দুর্নীতির ফাইল পুড়াতেই কাউকে দিয়ে এই নাশকতা ঘটাতে পারে। এটি দ্রুত তদন্ত করা প্রয়োজন।”
আগুন লাগার পর ভেতরে ঢোকেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান খান। ভেতর থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, “আগুন লাগার ঘটনায় দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”