সারা বাংলা

বড়দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়

বড়দিনের সরকারি ছুটিকে উপলক্ষ্য করে পটুয়াখালী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। আগতদের ভিড়ে প্রাণচাঞ্চল্যতায় ফিরেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে প্রশাসনের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেখা যায়, পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নেচে গিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। বুধবার সারাদিনই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকদের অনেকেই সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউ। কেউবা ঘুরছেন ঘোড়ায়, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে। অনেকে আবার প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। অনেকে আবার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

পুরো সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শুধু সৈকতের জিরো পয়েন্টই নয় লেম্বুরবন, শুঁটকি পল্লী, ঝাউবন, গঙ্গামতির চর ও কাকড়ার চরসহ সকল পর্যটন স্পটেই এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার হোটেলে মোটেলের ৭০ ভাগ কক্ষ।  আগত পর্যটকদের  নিরাপত্তায় সকল পর্যটন স্পটে টুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আসা পর্যটক সুমি বলেন, “ডিসেম্বর মাস হওয়ায় এমনিতেই বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ রয়েছে। আর আজ বড় দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। এছাড়া আরও একদিনের ছুটি নিয়েছি। আমাদের সময়টা বেশ দারুণ কাটছে। বাচ্চারা বেশ আনন্দ পাচ্ছে।” 

মিরপুর থেকে আসা পর্যটক সেলিম মিয়া বলেন, “আজকে কুয়াকাটা এক অন্যরকম আবহাওয়া। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিবেশটা আমার কাছে দারুন লাগছে।”

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের ওসি শওকত হোসেন বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি মাঠে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পুলিশের সদস্যরা টহল দিচ্ছে।”