লাইফস্টাইল

ঠোঁটের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে করণীয়

ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমরা অনেক প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির তথ্য, কিছু প্রসাধনী ঠোঁটে ব্যবহারের পর জ্বালাপোড়া বোধ হতে পারে। এই সব প্রসাধনী ভুলেও ব্যবহার করা ঠিক নয়। এগুলো ঠোঁটের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলেন,  ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা। এজন্য কোনোভাবেই শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। ঠোঁটর আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিত খাবারের তালিকায় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিতে হবে। ঠোঁটের আদ্রতা হারিয়ে যায় শরীরের ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে। সুতরাং এমন কোনো খাবার বেছে নেওয়া উচিত সে খাবারে এই সব উপাদান আছে। শীতেও ত্বক ও ঠোঁটের সানবার্ন হতে পারে। এই সময় ঘরের বাইরে বের হওয়ার আগে ঠোঁটেও সানস্ক্রিনের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

রূপবিশেষজ্ঞদের মতে,  ঠোঁট সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত ঠোঁটের মরা কোষ দূর করা প্রয়োজন। এ জন্য নরম টুথব্রাশে এক ফোঁটা তেল নিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিতে পারেন। এতে ঠোঁট আবার নিজের রং ফিরে পাবে। এ ছাড়া কুসুম গরম পানিতে একটু মধু মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁট ঘষে নিতে পারেন। মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ঠোঁটের আর্দ্রতা বাড়াতে সক্ষম। এই মিশ্রণ স্ক্রাবারের কাজও করে থাকে। ঠোঁটে লিপস্টিক দিলে  নারকেল তেল দিয়ে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলতে পারেন। ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে দুই ফোঁটা নারকেল তেল ঘষে নিতে পারেন।