দেহঘড়ি

অ্যান্টিবায়োটিক কী শরীরের কোনো অঙ্গকে নষ্ট করতে পারে?

শীতকাল এলে বিভিন্ন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষ করে অনেকেই কাশিতে ভুগতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন কাশিতে ভুগলে বেশিরভাগ সময় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়। অনেকেই বলে থাকেন, অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ নষ্ট করে ফেলে। আসলেই কী তাই? অ্যান্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ওষুধ যা বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ে থাকে। এই ওষুধ শরীরে কীভাবে কাজ করে সেই বিষয়ে চিকিৎসক কী বলেন, জানা যাক।

ডা. সারোয়ার জাহান ভুইয়া, সিনিয়র কানসালটেন্ট, এভারকেয়ার হসপিটাল, ঢাকা বলেন, ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে একটি ওষুধ। যেটা শরীরে ঢুকে শরীরের ভেতরে যে জীবাণু ঢুকেছিল তাকে মেরে ফেলে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এই জীবাণু মেরে ফেলার কায়দা কী?— কায়দাটা হচ্ছে জীবাণুর যে দেয়ালটা আছে সেটা নষ্ট করে দেওয়া। অথবা জীবাণুর ভেতরে যে প্রোটিন আছে সেই প্রোটিনকে নষ্ট করে দেওয়া। অ্যান্টিবায়োটিক দেয়াল বা প্রোটিন নষ্ট করার মাধ্যকে দেয়ালকে দুর্বল করে ফেলে। একটি অ্যান্টিবায়োটিক কাজ শেষ করার পরে কিডনী অথবা লিভার দিয়ে বের হয়ে যায়।’’ 

‘‘যে ওষুধ আমরা দিনে দুইবার খাই। এর অর্থ হলো ১২ ঘণ্টা পরে আর ওই ওষুধ থাকে না। আবার যে ওষুধ আমরা দিনে একবার খাই তার অর্থ হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা পরে ওই ওষুধ আর শরীরে থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের কোনো অঙ্গকে নষ্ট করে না।’’— যোগ করেন ডা. সারোয়ার জাহান।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘হাই পাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক বলতে অনেকে যেটা বোঝান সেটা হলো দামি অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু চিকিৎসকেরা দামি বা কমদামি হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিককে বিবেচনা করেন না। তারা দেখেন রোগী যে জীবাণুতে আক্রান্ত হয়েছেন তার বিরুদ্ধে কোন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে।’’