জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে ছক্কা বৃষ্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাক লাগিয়ে দেন তরুণ ব্যাটার জিসান আলম। বড় বড় ছক্কা হাঁকালেও জিসান মনে করেন না এগুলো বড় ছয়, তার কাছে এসব স্বাভাবিক!
এবার দুয়ারে কাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে জিসান খেলবেন দুর্বার রাজশাহীর হয়ে। বড় ছক্কা হাঁকানো নিয়ে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জিসান বলেন, “তেমন কিছুই না। আমি ছোটবেলা থেকে ন্যাচারাল ক্রিকেট খেলে আছি। ছোটবেলায় বাবা আমাকে সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং করাতো। এজন্য ন্যাচারালভাবে ছক্কা মারি, ওটাকেই বড় বড় ছক্কা বলে সবাই।”
ছোট থেকে পেশাদার কোচ বাবা জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে বেড়ে উঠেছেন এই তরুণ ব্যাটার। সেটিই কাজে লাগছে এখন। এনসিএল ট-টোয়েন্টিতে ১৫৮.৭৬ স্ট্রাইকরেটে জিসান রান করেছেন ২৮১টি। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২২টি।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিপিএলও কাঁপাতে চান, “ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। এনসিএলটা আমার খুব ভালো গেছে। চেষ্টা করবো বিপিএলে যেন এমন একটা মৌসুম কাটাতে পারি।”
“ভালো ক্রিকেটটা খেলবো। দিনে যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, সেই সেরা। টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট কোন বড় দল নাই। যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলি ভালো করতে পারবো।”
এনসিএল টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং জিসানের উপর প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। অবশ্য নির্ভার থাকতে চান এখন পর্যন্ত মাত্র ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা ২০ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
“আমি চাপ নিতে চাচ্ছি না। কারণ এটা আমার গেম, এটা আমাকে খেলতে হবে। আমি ভালো কিছু করবো। মূল হচ্ছে পারফরম্যান্স করা, এটাই।”
জিসানের বাবা জাহাঙ্গীর জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। বাবার পথ ধরে ছেলে জিসানেরও স্বপ্ন একদিন জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া, “অবশ্যই এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণা। যেহেতু বাবা-চাচা দুজনই জাতীয় দলে খেলেছে। আমিও চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। যদি কপালে লেখা থাকে, জাতীয় দলে খেলবো।“