বিভিন্ন কারণে চোখে ব্যথা হতে পারে। রোগ ভেদে চোখে ব্যথার ধরণও আলাদা। কানসালটেন্ট মনিরুল ইসলাম বলেন চোখ ব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মূল কারণ চারটি। এগুলো হলো-
১. চোখের পাওয়ারজনিত সমস্যা: চোখে পাওয়ারের সমস্যা হলে অনেক সময় রোগীরা বুঝতে পারেন না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটারে কাজ করা বা চোখের ওপর চাপ পরে এমন কাজ ধারাবাহিকভাবে করার ফলে চোখে ব্যথা হতে পারে। চোখে পাওয়ারের সমস্যা হলে সন্ধ্যায় বা রাতে চোখ ব্যথা অনুভব করতে পারেন এবং ব্যথাটা মাথার পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে চক্ষু বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে চোখে চশমা ব্যবহার করতে হবে।
২. মাইগ্রেন: এই সমস্যা হলে মাথা ব্যথা করে। আবার মাথা ব্যথা চোখেও ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ব্যবহার করে এতে চোখ ব্যথা হতে পারে। সারাদিন অল্প পরিমাণ পানি পান করলেও পানিশূন্যতার কারণে মাথা ব্যথা থেকে চোখে ব্যথা হতে পারে। সারাদিনে অনিয়মিত খাবার গ্রহণ করলে ক্ষুধাজনিত কারণে চোখ ব্যথা হতে পারে।
৩. চোখের প্রদাহজনিত সমস্যা: এই সমস্যার প্রধান উপসর্গ হচ্ছে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ব্যথা হওয়া এবং ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করা, আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা। বাতজনিত সমস্যা বা ভাইরাসজনিত সমস্যা থাকলে চোখের প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. চোখের গ্লুকোমা: চোখ একেবারে লাল হয়ে যায় এবং তীব্র ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুতগতিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে চোখ সারাজীবনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘‘চোখে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে। এর পাশাপাশি চশম ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় রোগীরা চশমা ব্যবহার করতে চান না কিন্তু চোখের সমস্যা শুধুমাত্র ওষুধ সেবন করে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে চোখের পাওয়ার কমে গেলে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করতে হবে। আর যারা চশমা ব্যবহার করবেন তারা ছয় মাস পর পর চিকিৎসককে দেখিয়ে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করে নিতে পারেন।’’