অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই অনেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনেক খাবার গ্রহণ করেন না। আবার অ্যাজমা রোগ হলে অনেকে বেশ কিছু খাবার গ্রহণ একেবারে বনধ করে দেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধুমাত্র খাবার গ্রহণের কারণে কারও অ্যাজমা রোগ হতে পারে না।
ডা. জালার মোহসীন উদ্দীন বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী, ঢাকা বলেন, ‘‘ অ্যাজমা রোগ প্রতিরোধে কিছু কিছু মানুষ মজাদার খাবারগুলো এড়িয়ে যান। যেমন— চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, বেগুন ভাজা ইত্যাদি। অনেকে মনে করেন এই সব খাবার খেলে অ্যাজমা হতে পারে। আবার এই খাবারগুলো খেলে অ্যাজমা বেড়ে যেতে পারে। এটি একটি ভুল ধারণা। অ্যাজমা হয় মূলত জেনেটিক কারণে এবং পরিবেশগত কারণে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে কোনো খাবার খাওয়া বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। তবে যারা এই রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে কোনো কোনো খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া লাগতে পারে। ’’
‘এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধুলাবালি এবং আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অ্যাজমা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ কোনো খাবার গ্রহণে অ্যাজমা হয়, এরকম রোগী আমরা খুব হাতে গোনা কয়েকজনকে পেয়েছি।’— যোগ করেন ডা. জালাল মোহসীন।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘ শিশুদের অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিলেই অধিকাংশ সময় দেখা যায় বাবা মায়েরা সন্তানকে মজাদার সব খাবার খাওয়ানো বন্ধ করে দেন। কোনো এক ধরনের খাবার গ্রহণের কারণে সমস্যা হচ্ছে বলে আরও অনেক খাবার বাদ দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। খাবারে অ্যাজমা বাড়ে খুব কম সংখ্যক মানুষের। দেখা গেছে একজনের বেগুন খেলে অ্যাজমা বাড়ে আবার আরেকজনের টমেটো খেলে বাড়তে পারে। কোন খাবার খেলে ব্যক্তির সমস্যা হয় ওই ব্যক্তিকে বুঝতে হবে। নির্দিষ্ট ওই খাবার পরিহার করতে হবে।’’