দেহঘড়ি

হাইপার টেনশন থাকলে কি আচার খাওয়া যাবে?

মূলত আমরা যেকোন ফল বা সবজি থেকে আচার তৈরি করে থাকি। সবজি বা ফল থেকে তৈরি আচার থেকে আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলগুলো পেতে পারি। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে আচার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। তবে সবার জন্য আচার উপকারি নয়।

পুষ্টিবিদ ড. সামিয়া জেসমিন বলেন, ‘‘আচার যে প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় সেই প্রক্রিয়ায় ফার্মেন্টেন্ট হয়ে প্রো-বায়েটিক যুক্ত হচ্ছে। এবং আচার হজমের শক্তি বাড়ায়। কারণ প্রো-বায়েটিক খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। এ ছাড়া আচার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আচারে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং মিনারেল থাকায় এই খাবার থেকে পাওয়ারফুল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। ’’

‘‘আচার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে। যারা প্রেগনেন্সিতে আছেন তাদের অনেক সময় মর্নিং সিকনেস থাকে। এবং বমিটিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়। আচার তাদের জন্য অনেক উপকারি।’’— যোগ করেন সামিয়া জেসমিন।

এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ‘‘কোনো কোনো  ক্ষেত্রে আচার ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হাইপার টেনশন আছে তারা আচার কম খাওয়াই ভালো।  আচার ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যাদের কিডনী সমস্যা আছে তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।’’