অর্থনীতি

পরিচালন মুনাফায় রেকর্ড গড়ল সোনালী ব্যাংক

২০২৪ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা, যা একটি নতুন রেকর্ড। ২০২৩ সালে এ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা বেশি। ২০২৫ সালে গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখে সেবার মান বৃদ্ধি করে আরও নতুন উচ্চতায় এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সোনালী ব্যাংকের।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শওকত আলী খান এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

মো. শওকত আলী খান জানিয়েছেন, পরিচালন মুনাফার পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৪ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা বেশি।

২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকের নিট ইন্টারেস্ট ইনকামের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৯৪৯ কোটি টাকা বেশি। ২০২৩ সাল শেষে নিট ইন্টারেস্ট ইনকাম ছিল ৪৭৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের তুলনায় শ্রেণিকৃত ঋণ ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ কমেছে ১ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।

সোনালী ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “২০২৫ সালে খেলাপি ঋণ আদায়ের পাশাপাশি গুণগত মানের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেবে সোনালী ব্যাংক। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অর্থাৎ এসএমই খাতকে প্রাধান্য দিয়ে ঋণ দেওয়া হবে। রপ্তানি বাড়াতে স্থানীয় উৎপাদনশীল শিল্পকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া হবে। ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও সহজ করা হবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. শওকত আলী খান বলেন, “২০২৪ সালে ১ হাজার ১৭০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করেছে সোনালী ব্যাংক। এর মধ্যে শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছ থেকে ১২১ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। রাইটঅফ থেকেও ঋণ আদায় করা হয়েছে।”

তবে, বেক্সিমকো ও থার্মেক্স শিল্প গ্রুপ কী পরিমাণ ঋণ খেলাপি রয়েছে, তা জানাতে পারেনি মো. শওকত আলী খান। এই দুই গ্রুপের ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বেক্সিমকোর ঋণের বড় অংশ অনিয়মিত হয়ে গেছে।”

পরিচালন মুনাফা একটি ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে তাকেই বলা হয় পরিচালন মুনাফা। পরিচালন মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন ও কর-পরবর্তী মুনাফা হলো ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা।