কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন ২২০ জন বাংলাদেশি যাত্রী। রবিবার (৫ জানুয়ারি) গভীর রাত থেকে সেখানে তারা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল গাড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও তাদের পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকি কখন তাদের ঢাকায় ফেরানো হবে, সে বিষয়ে নেই কোনো সঠিক উত্তর।
রবিবার রাতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মালোন্দ এয়ারের (ফ্লাইট নম্বর ওডি-১৬২) একটি বিমান ঘন কুয়াশার কারণে কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে রাত ১০টায় বিমানটি ছাড়ার কথা থাকলেও সেখানে ১ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। বিমানটি ভোর ৩টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে বিমানটি ২২০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় অবতরণ করে।
এরপর থেকে যাত্রীরা ট্রানজিট পয়েন্টেই আটকা ছিলেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে বিমানের নারী-শিশু ও অসুস্থ রোগীদের অনুরোধে মানবিক বিবেচনায় তাদের সিকিউরিটি চেকপয়েন্টের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে নিয়ে আসা হয়।
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ভারতের সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিমানবন্দরেই রয়েছেন যাত্রীরা। কখন দেশে ফিরতে পারবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা যাত্রীরা কেউই জানাতে পারেননি।
যাত্রীরা জানান, বিমান সংস্থার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ভারতীয় আঞ্চলিক অফিস কিংবা কুয়ালালামপুরের হেড অফিস, কোথাও তারা যোগাযোগ করতে পারেননি।