খেলাধুলা

কেন ৫৮-৬০ গজের বাউন্ডারিতে খেলছি, প্রশ্ন তামিমের?

রান উৎসবের বিপিএল। বিপিএলে ঢাকা পর্ব যেখানে শেষ হয়েছিল, সিলেট পর্ব সেখান থেকে শুরু হলো। সিলেটে গতকাল প্রথম দিন বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে বসেছিল। 

সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে ছক্কাই হয়েছে ৩১টি। চার ২৪টি। ৩১ ছক্কা বিপিএলের ইতিহাসে এর আগে কোনো ম্যাচে হয়নি। রাতের ম্যাচে অবশ্য একই সেই ছন্দ ছিল না। দুর্বার রাজশাহী ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ১৪টি, চার ৩২টি।

চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানোর পেছনে বড় কারণ দুটি। এক, দারুণ উইকেট। দুই, ছোট সীমানা। সিলেটের উইকেট এমনিতেই রান প্রসবা। এবার বিপিএলের শুরুর আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সব ভেন্যুর কিউরেটরদের হাই স্কোরিং উইকেট বানাতে নির্দেশ দেন। সেভাবেই উইকেট তৈরি হয়েছে। ঢাকায় প্রথম পর্বের পর সিলেটেও তাই মিলেছে রানের বন্যা। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাউন্ডারির ছোট সীমানা। 

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উন্মাদনা বাড়ানোর জন্য বাউন্ডারির সীমানা ছোট করা নতুন কিছু নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তা অনুসরণ করা হয়। তবে সিলেটে প্রথম দিনে সীমানা ছিল একেবারেই কম। যা চোখে দৃষ্টিকটু লেগেছে অনেকেরই। বাউন্ডারির সীমানা ছিল ৫৮-৬০ গজ। তাতে বোলারদের কপাল রীতিমত পুড়েছে। ব্যাটসম্যানদের মুখে ফুটেছে হাসি। 

যদিও এরকম ছোট সীমানা একদমই পছন্দ হয়নি জাতীয় দলের সাবেক ও ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের। দলকে জেতাতে তামিম গতকাল ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন। পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই পুরস্কার গ্রহণের পর তামিম বিসিবির ফেসবুক পেইজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছোট সীমানা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।

‘‘যেভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে তা এক কথায় দারুণ। তবে আমি বাউন্ডারির সীমানা আরো বড় দেখতে চাই। আপনার কাছে যেহেতু জায়গা আছে, তাহলে কেন আমরা ৫৮ কিংবা ৬০ গজের বাউন্ডারিতে খেলছি। আমি আসলে নিশ্চিত নই। আমরা যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলি তখন ৬৫-৭০ গজের বাউন্ডারি থাকে। এজন্য বলছি…’’

বোলারদের কথা বিবেচনা করা কথা বলেছেন তামিম, 

‘‘বোলাদের জন্যও আপনাকে কিছু দিতে হবে। উইকেট এখানে দারুণ। কিউরেটরকে সাধুবাদ জানাতে হবে। তারা চমৎকার উইকেট বানিয়েছে। যেহেতু উইকেট ভালো তাহলে বাউন্ডারি আরো পেছানো উচিত। কারণ আপনার কাছে জায়গা আছে। তাতে বোলারদেরও কিছুটা সুবিধা হবে। এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছুই নেই।’’

বাউন্ডারির সীমানা নিয়ে আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তামিম যোগ করেন,

‘‘আমি আশা ও প্রার্থনা করি যারা উপরের মহলে আছেন যারা সিদ্ধান্ত নেবেন এবং আমাকে শুনতে পাচ্ছেন বাউন্ডারির সীমানা বড় করুন। আবারো বলছি, জায়গা আছে।’’