লক্ষ্য হাতের নাগালে। রাকিম কর্নওয়ালের প্রথম বলেই খোঁচা দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। গোল্ডেন ডাক! পরের ওভারেই বিদায় নাজমুল হোসেন শান্তর। এরপর কাইল মায়ার্সের সঙ্গে জুটি গড়ে ঝড় তোলেন তাওহীদ হৃদয়। তাতে ৯৭ বল হাতে রেখে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশাল পায় ৭ উইকেটের বড় জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি, ২০২৫) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১২৫ রানে থামে সিলেট। তাড়া করতে নেমে ১০.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বরিশাল। চতুর্থ ম্যাচে বরিশালের এটি তৃতীয় জয় অন্যদিকে হারের হ্যাটট্রিক করলো সিলেট।
কাইল মায়ার্স ৩১ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৪টি ছয় ও ৫টি চারে ইনিংসটি সাজান এই ক্যারিবিয়ান দানব। জয়ের কাছে এসে হৃদয় আউট হওয়ায় ক্রিজে এসে প্রথম বলেই জাহানদাদ খান চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন।
মায়ার্স-হৃদয় জুটি থেকে আসে ১১৬ রান। ২ ছক্কা ৮ চারে ২৭ বলে ৪৮ রান করেন হৃদয়। চতুর্থ ম্যাচে এসে নামের পাশে সুবিচার করেন এই ব্যাটার। প্রথম ম্যাচে ৩২ করলেও বাকি দুই ম্যাচে ছিলেন ব্যর্থ (৪ ও ১৩)। হৃদয়ের ব্যাটে রান নিশ্চিত স্বস্তি ফিরবে বরিশাল শিবিরে।
তবে অস্বস্তি থেকে যাবে শান্তর অফ ফর্ম। গত ম্যাচে ছিলেন না একাদশে। আজ ফিরে উইকেট কিপিংও করেন এই ক্রিকেটার। ফিল্ডিংয়ে সাবলীল দেখা গেলেও ব্যাট হাতে চলছে ব্যর্থতার গল্প। এর আগের দুই ম্যাচে তার রান শূন্য ও ৯। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব।
এর আগে শূন্য রানে উইকেট পতনের পর রাকিম কর্নওয়ালের ব্যাটে প্রাণ ফিরে পায় সিলেট। রাকিম ফিরলেও শাহীন শাহ আফ্রিদিকে তুলোধুনো করে জর্জ মুনসে পাওয়ার প্লেতে এনে দেন ‘পারফেক্ট’ রান।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এটুকই শুধু সিলেটের গল্প। জাহানদাদ খানের তোপে ৩৫ বলে ১৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সিলেট। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক আরিফুল হকের ব্যাটে ভর করে কোনোমতে শতরানের আগেই অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় স্বাগতিক শিবির।
২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আরিফুল। তার ইনিংসে ছয়ের মার ছিল ৩টি ও চারের মার ছিল ১টি। প্রথমবার খেলতে নামা রাকিম ১২ বলে ১৮ রান করে ফেরার পর দারুণ জুটি গড়েন জাকির-জর্জ। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। ১৩ বলে ২৮ করে জর্জ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। জর্জের আউটে শুরু হয় পতন। ১৩ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে যেন ছিটকে যায় সিলেট।
থিতু হওয়া ব্যাটার জাকির ফেরেন ২৫ রানে। এরপর আরিফুল এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন। তার বিদায়ের পর কোনো রান করতে পারেনি সিলেট। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জাহানদাদ খান ও রিশাদ হোসেন।