ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যৌতুকের জন্য তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, একই দিন দুপুরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় তানিয়া আক্তার ও তার বাবাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে তিন জনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তানিয়ার শাশুড়ি মাহমুদা খাতুন ও ননদ রুমি খাতুন। তবে, মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তানিয়ার বাবা একই উপজেলার মঙ্গলপৈতা গ্রামের রিপন গাজী বলেন, ‘‘তানিয়ার তিন মাসের শিশুসহ দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তানিয়াকে মারধর করত সোহেল। পরে কয়েক দফায় তাকে বেশকিছু টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, সোহেল ও তার পরিবারের লোকজনের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তানিয়াকে আবার টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গেলে আমাকেও মারধর করে আটকে রাখা হয়।’’
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় এক গৃহবধূ ও তার বাবাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’’
আরো পড়ুন: যৌতুকের শিকল থেকে উদ্ধার তানিয়া