দীর্ঘ ১৫ বছর পর মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামের মিটু হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে যশোর পিবিআইর সদস্যরা। মামলার তদন্ত শেষে প্রধান আসামি ছিদ্দিক মুন্সীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিদ্দিক সংকোচখালী গ্রামের আব্দুস সালাম মুন্সীর ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআই জানায়, ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল সকালে সংকোচখালী গ্রামের ক্ষেতে মিন্টুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে মিটুর বাবা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মো. ছিদ্দিক মুন্সীসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পিবিআই যশোরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, তদন্তে উঠে আসে মিটুর হত্যার সঙ্গে ছিদ্দিক মুন্সী সরাসরি জড়িত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে ছিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তাকে মাগুরা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ হত্যা মামলাটি প্রথমে সিআইডি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। তবে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে মামলার স্থগিতাদেশ নেয়। ২০১৬ সালে স্থগিতাদেশ খারিজ হলে আদালত পিবিআই যশোরকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে আবারো স্থগিতাদেশ নেয় আসামিপক্ষ। অবশেষে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালত স্থগিতাদেশ বাতিল করে পিবিআই যশোরকে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেয়।