শুক্রবার (১০ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে তামিম ইকবাল জানিয়ে দিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তিনি থাকছেন না, আর ফিরছেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ জুলাই আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তারকা বাঁহাতি ওপেনার। দেড় বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে একেবারে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
নানা কারণে অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তামিম। ফেরার গুঞ্জন থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। তামিমের এমন সিদ্ধান্তে আবেগ ছুঁয়েছে সতীর্থদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন তারা।
মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘‘তোর অবসরের পর, আমি তোর অর্জনের জন্য কতটা গর্বিত তা প্রকাশ করতে চাই তামিম। দোস্ত, তুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন অসাধারণ দূত এবং একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান।’’
‘‘দুবাইতে আমাদের জুটির কথা আমি সব সময় মনে রাখব। বিশেষ করে, যখন তুই ভাঙা আঙুল নিয়েও ব্যাট করেছিলি। এটি দেশের প্রতি তোর নিষ্ঠা এবং খেলার প্রতি তোর আবেগকে প্রকাশ করেছিল।’’
‘‘শুভ অবসর, দোস্ত। মাঠে তোমাকে মিস করব, কিন্তু ক্রিকেটের মাধ্যমে এত ভালো বন্ধু পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’’
নিজেদের জুটির একটি ছবি পোস্ট করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘‘তামিম, দীর্ঘ এবং অসাধারণ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তোমার অসাধারণ সাফল্যের জন্য অনেক অভিনন্দন। তুমি অনেক অর্জন করেছ এবং বাংলাদেশ দলের জন্য অপরিসীম অবদান রেখেছ। আমার মনে হয়, এটিই ছিল শেষবার যখন আমরা বাংলাদেশ দলের হয়ে একসাথে ব্যাট করেছিলাম। তোমার সাথে খেলা, মাঠে এবং বাইরে এত স্মৃতি ভাগাভাগি করে নেওয়া আনন্দের ছিল। আমি তোমার অবসরের জন্য শুভকামনা করি এবং ভবিষ্যতের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য শুভকামনা জানাই।’’
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল ইসলাম শান্ত জাতীয় দলে ফেরার জন্য তামিমকে অনুরোধ করেছিলেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাকে প্রয়োজন সেই কথাও বলেছিলেন। নিজের ফেসবুক পেজে শান্তর বার্তাটা কিছুটা আক্ষেপের,
‘‘প্রিয় তামিম ভাই, আপনার নেওয়া সিদ্ধান্তকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। ২০১৬ সালে আবাহনীর হয়ে প্রথমবার আপনার সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করা থেকে শুরু করে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলার সুযোগ, আপনার কাছ থেকে শিখেছি অসংখ্য কিছু। আপনার ক্রিকেটীয় মেধা, সহ-খেলোয়াড়দের প্রতি আপনার যত্নশীলতা ও উদারতা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে।’’
‘‘আপনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনাকে ভাবতে হয়েছে, এবং সেটিকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। তবে ড্রেসিং রুমে এবং ২২ গজে আপনার সঙ্গ আমরা ভীষণভাবে মিস করব।’’
‘‘আমি গর্বিত যে এমন এক কিংবদন্তি ব্যাটারের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি এবং জাতীয় দলে আপনার সঙ্গে খেলতে পেরেছি। দোয়া করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সময়গুলো আনন্দময় হোক। ভালো থাকবেন, তামিম ভাই।’’
সৌম্য সরকার লিখেছেন, ‘‘নতুন সূচনা এবং জীবনের অসংখ্য স্মৃতির জন্য শুভেচ্ছা। অবসর শেষ নয়, এটি কেবল একটি সুন্দর নতুন অধ্যায়ের সূচনা। সামনের যাত্রা উপভোগ করার জন্য শুভকামনা। অবসরের শুভেচ্ছা, ভাই। মাঠে তোমার অভাব বোধ হবে।’’