২১ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের এমন করুণ দশা শেষ কবে হয়েছিল? খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬৩ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা। কিন্তু পরের ৫ উইকেটে তারা যোগ করতে পারে মাত্র ৩৫ রান। অলআউট হয়েছিল ৯৮ রানে।
আজ অবশ্য অকল্যান্ডে শুরুর বিপর্যয়ের পর কিছুটা লড়াই করতে পারে তারা। সবকটি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করতে পারে ১৫০ রান। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯০ রানের টার্গেটে তারা গুটিয়ে যায় অল্পতেই। ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে কিউইরা।
প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ওয়ানডে সিরিজ তারা নিশ্চিত করেছে ২-১ ব্যবধানে। যা তাদের ঘরের মাঠে টানা অষ্টম ওয়ানডে সিরিজ জয়। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ২৯০ রান করে। জবাবে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে ২৯.৪ ওভারে অলআউট হন নিউ জিল্যান্ড।
ব্যাটিংয়ে এদিন শ্রীলঙ্কার হাল ধরেন তিন ক্রিকেটার। ওপেনিংয়ে পাথুম নিশাঙ্কা ৪২ বলে ৬৬ রান করেন। তিনে নামা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে জানিথ লিয়াঙ্গে ৫২ বলে ৫৩ রান করলে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় লঙ্কানরা। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে পেসার ম্যাট হেনরি ৫৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন সেরা। ২ উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক মিচেল স্ট্যানার।
লক্ষ্য তাড়ায় আশিথা ফার্নান্দোর বোলিং তোপে স্বাগতিকরা ৫ উইকেট হারায় ২১ রানে। সেখান থেকে আর তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল লড়াই করেন তিনে নামা মার্ক চ্যাম্পমান। ৮১ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন তিনি। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। টপ ও মিডল অর্ডারে বাকি কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি।
বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ফার্নান্দো, থিকসেনা ও মালিঙ্গা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন আশিথা ফার্নান্দো। ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা ম্যাট হেনরি।