চাঁদপুরের হাইমচরে অটো রিক্সা থেকে কতিপয় লাইনম্যানের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সাথে বিএনপি বা অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সফিক। জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সফিক পাটোয়ারী। যদিও এরআগে তিনি হাইমচর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মাজহারুল ইসলাম সফিক বলেন, “গত অক্টোবর মাস থেকে এ পর্যন্ত উপজলায় তিনটি মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি মাসিক সভাতেই বাজারের যানজট নিরসনে কার্যত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সর্বশেষ গত মাসের মাসিক সমন্বয় সভায় অটো রিক্সার যানজট নিরসনের জন্য পাঁচটি স্ট্যান্ডে দুজন করে ১০ জনের পারিশ্রমিক বাবদ এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অটো থেকে ২০ টাকা করে সংগ্রহ করতে লাইনম্যান রাখার সিদ্ধান্ত ও জনপ্রতি ৬০০ টাকা করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “১০ জন লাইনম্যানের ৬০০ টাকা করে দৈনিক ৬০০০ টাকা মাসে ১,৮০,০০০ টাকা প্রদান করার পর মাস শেষে হিসাব নিকাশ করবেন উপজেলা প্রশাসন। এ লাইনম্যানদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় হাইমচর থানা পুলিশ ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম কোতয়ালকে। কাজেই অটো রিক্সা থেকে টাকা উত্তোলন বিষয়ে হাইমচর উপজেলা বিএনপি বা অঙ্গসহযোগী সংগঠন কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিল না। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে অটো রিক্সা থেকে (জিপি) টাকা উত্তোলন সম্পর্কে উপজেলা বিএনপি পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোনো মতামত ছিল না এবং নাই। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনরূপ বিভ্রান্তি যাতে না হয় সেজন্য গণমাধ্যমের সহায়তা চাই।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মিজানুর রহমান শেখ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশিদ,উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান আখন, আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার বাসু মাঝি, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. বোরহান উদ্দিন জুটন, আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির লিটন, ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. সোহাগ, হাইমচর প্রেসক্লাব আহ্বায়ক ফারুকুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাহেদ হোসেন দিপু প্রমুখ।