আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলার পর বাষ্পীভূত হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের মৃতদেহ

গাজা উপত্যকার যেসব স্থানে ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়েছে সেসব এলাকায় কমপক্ষে ৭ হাজার ৮২০ জন বেসামরিক ব্যক্তির মৃতদেহ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাষ্পীভূত হয়েছে। এই সংখ্যা ইসরায়েলি হামলায় নিহতের ১০ শতাংশ। শুক্রবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে, সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস গাজায় ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনীর হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকের ফলে বিপুল সংখ্যক মৃতদেহ নিখোঁজ এবং গলে যাওয়ার ঘটনাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী দল বোমা বিস্ফোরিত স্থান থেকে অনেক মৃতদেহ আংশিকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পরেও উদ্ধার করতে পারেনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী এমন মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে যা বিস্ফোরণের সময় চরম তাপ উৎপন্ন করে এবং মৃতদেহের বাষ্পীভবন ঘটায়।

মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ড. মুনির আল-বুরশ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই মারাত্মক অস্ত্রগুলোর একটি বড় অংশ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এবং এর ধ্বংসাত্মক বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত বেশি এবং ভারী ওজনও রয়েছে … এগুলো বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁবু এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয়, যেগুলি নিয়মিত বোমা থেকে সুরক্ষিত নয়। তাহলে যাদের উপর এই ধরণের মারাত্মক গোলাবারুদ দিয়ে আক্রমণ করা হবে তাদের ভাগ্য কী হবে?”