সারা বাংলা

বিচার প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: সারজিস

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “আমরা আমাদের জায়গা থেকে যখন শহীদদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি তখন তারা হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার চান। বিচার প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ এখনো দেশ দোসরমুক্ত হয়নি। কারণ দেশের অনেক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দোসরদের মদদ দিচ্ছে।” 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সামাজিক সংগঠন আস-সিরাজ আয়োজিত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ আলোচকের বক্তব্য একথা বলেন তিনি। ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সারজিস আলম বলেন, “আমরা সংস্কারের কথা বলি, তবে যারা এমন করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কথা বলছি না। তাদের বিরুদ্ধে কথা না বলতে পারলে অভ্যুত্থানের কোনো সফলতা আসবে না। আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে তাদের কথা কেন আমরা বলতে পারছি না। প্রত্যেকটা বাজারে চাঁদাবাজি জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।” 

তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে হাসিনার মাধ্যমে নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছে এদেশের মানুষ। তার ক্ষমতা পিপাসার কাছে জিম্মি ছিল মানুষ, গোলাপগঞ্জের কাছেও জিম্মি হয়েছিল এদেশের মানুষ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন।”

সারজিস আলম বলেন, “হাসিনা হাজারো পরিবারকে বিগত ১৬ বছরে উৎখাত করেছেন। তিনি একদিনে খুনি হাসিনা হননি। আগামীতে কাউকে এমন হতে দেব কি না তা আমাদের ওপর নির্ভর করবে। শেখ হাসিনা যা করেছেন তার ফলাফল ২৪ এর অভ্যুত্থান। কেউ যদি ভুল পথে হাঁটেন তাদেরও পরিণতি এমন হবে। আমরা কাউকে ছাড়ব না, তাই বুক টান করে প্রতিবাদ করতে হবে। আমদের এ লড়াই বাংলাদেশকে সামনে রেখে হোক, মানুষের জন্য হোক।”

আস সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বেঅনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠনে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এরপর ১৫ শহীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।