কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বিসিক শিল্পী নগরীতে এক বিধবার দুটি প্লট দখলের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান খোকা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী ফয়েজুন নেছা সুমি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিসিক শিল্প কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন অফিসে একাধিক অভিযোগ করেও সুফল মেলেনি। পরে চৌদ্দগ্রাম থানা অভিযোগ করতে গেলে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন।
যদি অভিযুক্ত চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশের এসআই বাপ্পি ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।’’
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্র জানা যায়, আল মদিনা এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির মালিক মৃত আবদুল মান্নানের স্ত্রী ফয়েজুন নেছা সুমি। স্বামীর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি চৌদ্দগ্রাম বিসিক শিল্পনগরীর প্লট নং বি-৬ ও ৭ এর মালিক। তার প্লট মিজান ওয়েল মিলের মালিক যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের কাছে ২০১৪ সালে ভাড়া দেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিজানুর রহমান ওই জমির ভাড়া পরিশোধ করেন। পরবর্তী হুমকি-ধুমক দিয়ে আর ভাড়া দেননি। ২০২৪ সালের মে মাসে চুক্তি শেষ হলেও মিজান প্লট বুঝিয়ে দেননি। পরে ভুক্তভোগী নারী তার প্লট উদ্ধার করে গেলে তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্লটের মালিকানা দাবি না করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তার সন্তান এবং পরিবারকে হত্যার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী নারী ফয়েজুন নেছা সুমি বলেন, ‘‘২০১৮ সাল থেকে আমি দুটি প্লটের ভাড়া পাইনি। ভাড়ার জন্য গেলে হুমকি-ধুমকি দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরে দুটি বছর চলে গেছে। দুই কন্যা এক ছেলে নিয়ে আমি কষ্টে জীবনযাপন করছি।’’
অভিযুক্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান খোকাকে একাধিক ফোনে কল দিয়ে পাওয়া পাওয়া যায়নি। পরে কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন, ‘‘ভুক্তভোগী নারী আমাদের কাছে কয়েকটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে আমরা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। অভিযুক্ত মিজান পলাতক থাকায় এ বিষয়ে সমাধান করা যাচ্ছে না।’’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ্জামান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।