লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরী ইউএসএস হ্যারি জে ট্রুম্যানে আবারো হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর লোহিত সাগরে ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তারা আরো দাবি করেছে, এই হামলা নয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছে।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভিতে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, “লোহিত সাগরে বিমানবাহী রণতরীটি পৌঁছানোর পর থেকে, এটিকে লক্ষ্য করে আমরা পঞ্চমবারের মতো হামলা চালিয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “অভিযানটি সফলভাবে লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং বিমানবাহী রণতরীটিকে তার অবস্থান থেকে পিছু হটে লোহিত সাগরের উত্তরে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।”
ইয়াহিয়া সারি জানান, গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের সমর্থন এবং শুক্রবার উত্তর ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানে মার্কিন-ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাব দেওয়ার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ‘গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া ও অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরো আক্রমণ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন নৌ জোটের সঙ্গে ইয়েমেনে যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে। হুতিদের দখলে থাকা রাজধানী সানা, আমরান প্রদেশ এবং লোহিত সাগরের বন্দর শহর হোদেইদাহের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দুটি বন্দর লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
আল-মাসিরাহ টিভি শুক্রবারের ইসরায়েলি হামলায় একজন নিহত এবং নয়জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।
হুতিরা ২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকারকে রাজধানী সানা ছাড়তে বাধ্য করে।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।
এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে গত বছরের জানুয়ারি থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।