সারা বাংলা

বহিষ্কৃত যুবদল নেতা তারিকুলসহ ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মারামারি মামলার আসামি বহিষ্কৃত যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে শ্রীনগর আমলি আদালত-৩-এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুরদানা রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরি বলেন, ‍‍“তারিকুলসহ চার জনকে আজ আদালতে আনা হয়। আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”

কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন- সিয়াম পাঠান, শুভ পাঠান ও হিমেল। 

একটি মারামারির ঘটনায় আদালতের নির্দেশে গত ১৯ নভেম্বর বহিষ্কৃত যুবদল নেতা তারিকুলের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। তারিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দলের প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী থানায় ছুটে যান। তারা তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। পরে তারা হট্টগোল করে তরিকুলকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মাসুদ রানা, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমন, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন মিলন, জহিরুল ইসলাম মামুনসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। নাম না জানা আসামি করা হয় ১৬০ থেকে ১৭০ জনকে।

এদিকে, শনিবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারিকুল ইসলামকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। 

গতকাল যুবদলের সদস্য সচিব মু. মাসুদ রানা বলেন, “উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এ নতুন বাংলাদেশে আমরা ও আমাদের দল কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না।”

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান বলেন, “গত শুক্রবার তারিকুলকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তদবিরসহ নানা রকম চাপ প্রয়োগ শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা থানায় এসে হট্টগোল শুরু করে। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করি তারিকুল মামলার আসামি, তাই তাকে কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। পরবর্তীতে তারা থানায় ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আসামি তারিকুলকে ছিনিয়ে নেয়।”