ফরিদপুরের কানাইপুরে আলোচিত ওবায়দুর খান (২৮) হত্যা মামলায় কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আলতাভ হোসেনকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এছাড়াও এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ শেখ (৪০) নামে আরো একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কট কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) মো. আলী আরশাদ।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে আত্মগোপন অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকালে তাদের কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বিকালে নিহত ওবায়দুর খানকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খায়রুজ্জামান খাজার নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে। এ সময় তার দুই চোখে পেরেক ঢুকিয়ে খোঁচানো হয় এবং রগ কেটে পা ভেঙে ফেলা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান।
নিহত ওবায়দুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছোট ছেলে এবং পেশায় কৃষি ও কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার পাঁচ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনার পর শনিবার রাতে খায়রুজ্জামান খাজাকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন ওবায়দুরের বাবা বিল্লাল খান। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন খাইরুজ্জামান খাজা। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।