মিডিয়া

ডিএফপির সামনে ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের বিক্ষোভ

ডিএফপির সামনে ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের বিক্ষোভ

বন্ধ ঘোষিত ভোরের কাগজ খুলে দেওয়া ও অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পরিশোধ এবং সাংবাদিক কর্মচারীদের চাকুরিচ্যুতির প্রতিবাদে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে ডিএফপির (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পত্রিকাটির সাংবাদিক কর্মচারীরা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ভোরের কাগজের কার্যালয় খুলে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে তাদের সব দেনা-পাওনা পরিশোধের দাবিও জানান তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুকুল শাহরিয়ার, সম্পাদকীয় বিভাগের ইনচার্জ সালেক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন হাশিম, সার্কুলেশন বিভাগের ইনচার্জ তসলিম চৌধুরী, বিজ্ঞাপন বিভাগের ডেস্ক নির্বাহী মো. আক্কাছ আলী, কম্পিউটার বিভাগের ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া, স্পোর্টস ইনচার্জ শামসুজ্জামান শামস, সিনিয়র রিপোর্টার এস এম মিজান, আইটি বিভাগের ইনচার্জ মেহেদী হাসান ও সম্পাদনা সহকারী বিভাগের প্রধান মো. ইবরাহিম প্রমুখ।

এ ছাড়া কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের বিজ্ঞাপন বিভাগের ডেপুটি ম্যানজার নুর মোহাম্মদ স্বপন, উৎপাদন বিভাগের ইনচার্জ শরণ হাওলাদার প্রমুখ। এ ছাড়া মানববন্ধন ও সমাবেশে ভোরের কাগজের সব বিভাগের সাংবাদিক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ডিএফপির সামনে থেকে সাংবাদিক কর্মচারীরা পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিনের মগবাজারের ওয়ারলেসের বাসার সামনে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিক কর্মচারীরা জুলাই-আগস্টের ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ইখতিয়ার উদ্দিনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

প্রসঙ্গত, ভোরের কাগজ অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে, এমন ঘোষণা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ৯০০ টাকা কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। অথচ সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। এমনকি কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি। আজকের কর্মসূচি থেকে বন্ধ পত্রিকা খুলে দেওয়া, নিয়োগপত্র প্রদান, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নসহ সব বকেয়া বেতন-ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরও দাবি মানা না হলে পরবর্তীকালে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।