ক্যাম্পাস

জবিতে বীণাপাণির আরাধনায় নারী পুরোহিত

জবিতে বীণাপাণির আরাধনায় নারী পুরোহিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগে নারী পুরোহিতের মাধ্যমে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর প্রথমবারের মত এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিভাগটির শিক্ষার্থীরা, এবারও অব্যাহত রেখেছেন তারা।

গতবারের মতো পূজার পৌরোহিত্য করেছেন ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সমাদৃতা ভৌমিক। প্রথাগত ব্রাহ্মণ পুরুষদের পরিবর্তে নারী পুরোহিতের পৌরোহিত্যে সরস্বতী বন্দনা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবন-১ এর সামনে ইংরেজি বিভাগের পূজা মণ্ডপে এ চিত্র দেখা যায়।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মহাশ্বেতা রায় মিতু বলেন, “আমাদের পূজার অন্যতম উদ্দেশ্য বিদ্যার দেবীর আরাধনা। বিদ্যার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কোন ভেদাভেদ নেই। তাই পূজার ক্ষেত্রেও থাকা উচিত নয়।”

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ভগবানের জ্ঞান ও বিদ্যার রূপ হলেন দেবী সরস্বতী। প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়। হাতে বীণা থাকে বলে সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়।

সাদা রাজহাঁস এ দেবীর বাহন। ঐতিহ্য অনুযায়ী এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে বিদ্যার দেবীর মন্দিরে সন্তানদের প্রথম বিদ্যা পাঠের হাতেখড়ির আয়োজন করেন।

এবার জগন্নাথে ৩৭টি মণ্ডপে হচ্ছে সরস্বতী পূজা। প্রতি বছরের মত এবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ছাড়া অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে পূজা উদযাপন করছেন।

সে হিসেবে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩টি বিভাগ, দুইটি ইনস্টিটিউট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে পূজা হচ্ছে।

পূজা উপলক্ষে আলপনা ও আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শান্ত চত্বর, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচতলা, বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কলাভবন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে নিজ নিজ বিভাগের মণ্ডপ সাজিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।