শীত মাস বিদায়ের পথে। তবে বিদায় বেলায় মাঘ মাস তার প্রকৃত রূপ যেন দেখিয়ে দিলো। আজ ভোর থেকেই ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় সামান্য দূরের জিনিসও দেখতে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালেও ঘন কুয়াশায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। তবে কুয়াশার চাপ থাকলেও শীতের তীব্রতা ততটা বেশি অনুভূত হচ্ছে না।
মিরপুর এক নম্বর থেকে দিলশাত জাহান নাঈমা নামে এক চাকরিজীবী বলেন, “শীত কাল আমার পছন্দের ঋতু। বিশেষ করে ঘন কুয়াশা। এটা দেখলেই এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। অফিসের যাওয়ার জন্য সকালে বাসা থেকে বের হেয়ছি। কুয়াশায় ভালো মতো কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবে কুয়াশা পড়লেও শীত কিন্তু কম। আর মাঘে এতটুকু শীত না থাকলে ঋতু তো তার নিজস্বতা হারাবে।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কুয়াশার বিষয়ে এতে বলা হয়, শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামীকাল বুধবারও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।