সারা বাংলা

আশুলিয়ায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ২ জনের মৃত্যু

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ১১ জনের মধ্যে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী।  

নিহত দম্পতির দুই সন্তানসহ নয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতরা হলেন, সুমন মিয়া (৩২) ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার (৩২)। তারা সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ থাকতেন। 

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আগুনে শিউলি আক্তারে শরীরের (৯৫%) দগ্ধ হয়। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। সুমন মিয়ার শরীরের (৯৯%) শতাংশ দগ্ধ হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহতদের স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাভার উপজেলার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় ভাই সুমন রহমানের ভাড়া বাসায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান সোহেল রানা। ওই বাসায় সুমন স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। এছাড়া ওইদিন সুমনের মা সূর্যবানু, ফুফু জহুরা বেগম ওই বাসায় আসেন। সেদিন বিকেল থেকে নানা পদের রান্না চলছিল। মশার উপদ্রবের কারণে সন্ধ্যার খানিক আগে বাসার সব জানালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেল বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে সবাই দগ্ধ হন। পরে তাদের আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। দগ্ধ ও তাঁদের স্বজনদের ধারণা, সিলিন্ডারে গ্যাসের লিকেজ থেকে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আগুনে সূর্যবানুর শরীরের ৭ শতাংশ, মোছা. জহুরা বেগমের ৫ শতাংশ, মো. মনির হোসেনের ২০ শতাংশ, সোহেল রানার ১০ শতাংশ, শারমিনের ৪২ শতাংশ, ছামিন মাহমুদের ১৪ শতাংশ, মাহাদীর ১০ শতাংশ, সোয়ায়াদের ২৭ শতাংশ ও মোছা. সুরাহার ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে।