কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অপর চার সদস্য হলেন, আতিকুর রহমান মাসুদ, কামাল উদ্দিন মো. মাহমুদুজ্জামান রিপন ও আব্দুস আব্দুস ছাত্তার।
এতে বলা হয়, গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন চলার সময় দুইজন সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ িহয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য কারো গাফিলতি, কোনো পক্ষের উস্কানি বা কারো অবহেলা, অসতর্কতা ছিল কি-না এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর জালাল উদ্দিন। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মো. বদরুল আলমকে আহ্বায়ক করে চন্ডীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চন্ডীপাশা ইউনিয়নের চন্ডীপাশা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা ডাকে ইউনিয়ন বিএনপি। এ সময় সভা চলাকালে ওয়ার্ডের দুই সভাপতি প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই চেয়ার দিয়ে অন্য পক্ষে লোকজনকে আঘাত করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।