ক্যাম্পাস

‘আওয়ামী শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার ইসলামী নেতৃবৃন্দরা’

‘আওয়ামী শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার ইসলামী নেতৃবৃন্দরা’

আওয়ামী শাসনামলে ইসলাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দরা সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বলেন, “আওয়ামী শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে ইসলাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দরা। আলেমদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে শুধু জানে মেরে ফেলা নয়, চরিত্র হননেরও চেষ্টা করা হয়েছে। আজ স্বল্প মাত্রায় হলেও সমাজে যে বৈষম্য দূরীভূত হয়েছে, তা জুলাই বিপ্লবের ফসল। দীর্ঘ ১৬ বছরে যে বৈষম্য অন্যায় অবিচার সংগঠিত হয়েছে, তার অবসান ঘটেছে এ বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে। বাংলার মানুষ ক্ষমা করলেও আল্লাহ আওয়ামী লীগ কে ক্ষমা করবেন না।”

সোমবার (১৭ ফেব্রয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত  ‘জুলাই পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, “বিগত ১৬ বছর দেশের মানুষের উপর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট অন্যায়, নির্যাতন ও জুলুম করেছে। শত শত নিরাপরাধ মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। গুমের শিকার হলে একটি পরিবার কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ে, সেটি শুধু ভুক্তভোগী পরিবারই জানে। আমরা সেই গুমের রাজ্যে আর ফিরে যেতে চাই না।”

তিনি আরো বলেন, “পরবর্তী বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। যার সংবিধান হবে আল কোরআান। কারণ আমরা দেখেছি, রাজপথে ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, আযান হলে সেখানেই আবার তারা নামাজে দাঁড়িয়ে গেছে। এগুলোই ছিল জুলাই বিপ্লবের চেতনা আর স্পিরিট। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আলী, ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল হক, ইসলামী বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল উদ্দীন প্রমুখ।

এছাড়া ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।