সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি চেয়ে শিরনীর আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামে ছয়হাল মাঠে সংঘর্ষ হয়।
ঠাকুরভোগ গ্রামের আবদাল মিয়া-সুফি মিয়া পক্ষ ও নূর মিয়া-আশিক মিয়া পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। আধিপত্য ধরে রাখতে গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লোকজনদের নিয়ে গ্রামে শিরনীর আয়োজন করে নূর মিয়া-আশিক মিয়া পক্ষ। ওই দিন সন্ধ্যায় আবদাল মিয়া-সুফি মিয়ার পক্ষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারাও শিরনীর আয়োজন করবে। মাইকে এমন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে ঠাকুরভোগ গ্রামে। সকালে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।
নূর মিয়া-আশিক মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন, ঠাকুরভোগ গ্রামের মৃত তছই মিয়ার ছেলে নূর মিয়া, মৃত আবকুল খাঁর ছেলে শিহাব মিয়া, মৃত রমজান খাঁর ছেলে আরজান খাঁ, মৃত আবদুল নূরের ছেলে মতলিব মিয়া, মৃত ইসবর খাঁর ছেলে শাহ জাহান খান, আকিক মিয়া, সাজিদ মিয়া।
আবদাল মিয়া-সুফি মিয়া পক্ষের আহতরা হলেন, মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়া, সুফি মিয়ার ছেলে জুবেল আহমদ, মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মিয়া, মিজানুর রহমান, মখলিছ মিয়ার ছেলে সেবুল মিয়া, আবুল মিয়া, মনির মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, সৈয়দ মিয়ার ছেলে জমিদার আলী, মৃত আশাদ খাঁ'র ছেলে রেকুল খান, মৃত আরজু মিয়ার ছেলে ফখরু মিয়া, মৃত কমির মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া। আহত আরো কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
সংঘর্ষের বিষয়টি রাইজিংবিডি-কে নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী। তিনি বলেন, বৃষ্টি জন্য দোয়া প্রার্থনায় গ্রামে শিরনীর আয়োজন করাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছে। বর্তমানে গ্রামটি শান্ত রয়েছে।