মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখলা চা বাগানের মাধবপুর লেক পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। রোজা শুরুর আগেই যেনো ভ্রমণপর্বটা শেষ করতে চাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তাই কয়েকদিন ধরেই এখানে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।
প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই নয়নাভিরাম লেকটির আয়তন ৭.৯৮ একর। লেকটি সুউচ্চ পাহাড় ও চা বাগানের সবুজে ঘেরা।
মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং শ্রীমঙ্গল থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই লেকটি ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এক স্বপ্নের ঠিকানা। চারপাশের সবুজ চা বাগান, পাখির কিচিরমিচির, পাহাড়ের মাঝে স্বচ্ছ জলাধার সব মিলিয়ে মাধবপুর লেক প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার জায়গা।
মৌলভীবাজারের মাধবপুর লেকে পর্যটকের ঢল
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক এখানে আসছেন, বিশেষ করে এ বসন্ত মৌসুমে ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক পর্যটক মাধবপুর লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।
দূরদুরান্ত থেকে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, রমজানের একমাস সিয়াম পালনে ব্যস্ত থাকায় ঘুরাফেরা অনেকটাই বন্ধ থাকবে। শুষ্ক মৌসুমটাও আর থাকবে না। তাই ভ্রমণের সময়টা বেছে নিয়েছেন বসন্তের এই স্নিগ্ধতায়। শহরের জীবন বন্দিশালার মতো। এখানে এসে মুক্ত প্রকৃতিতে নিঃশ্বাস নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
কথা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রিফার আরা ইফতির সাথে। তিনি বলেন, “শহরে আমরা চার দেয়ালের ভিতরে বন্দিশালার মতো থাকি।”
মৌলভীবাজারের মাধবপুর লেকে পর্যটকের ঢল
আখাউড়া থেকে আসা জাহানারা বেগম বলেন, “মৌলভীবাজারের প্রাকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এসেছি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। নিরাপদে ঘুরাফেরা করছি। যোগাযোগ ব্যবস্থাও মোটামুটি ভালো। রমজান শুরু হলে ভ্রমণে আসা যাবেনা। আর প্রকৃতির এই অনুকুল পরিবেশ থাকবে না। তাই ভ্রমণ পর্বটা শেষ করে নিলাম।”
সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জ ফরিজা খাতুন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে এসেছেন। ওই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বুশরার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমরা প্রায় একশত শিক্ষার্থী এসেছি। সবুজ উচু টিলার ফাঁকে মাধবপুর লেকের অবস্থান। নান্দনিক এই দৃশ্য আমাদের দেখতে ভালো লেগেছে।”
মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার সাবেক সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, “ফুরফুরে আবহাওয়া থাকায় মৌলভীবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আগম ঘটেছে।”