খেলাধুলা

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি, থাকছেন সিমন্স-সালাউদ্দিন

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি, থাকছেন সিমন্স-সালাউদ্দিন

চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পারফরম্যান্স ছিল একদম বাজে। অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের এমন পারফরম্যান্সের ফলে ভুগতে হয়েছে পুরো দলকেই। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন দুজনে। প্রশ্ন উঠতে থাকে কখন থামবেন দুজন?

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর কেউ-ই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে কী ভাবছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)? সোমবার (০৩ মার্চ) ১৮তম বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।  

দুজনের অবসর কিংবা খেলা ছাড়ার বিষয়ে বোর্ড আগেভাগে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। ঘোষণাটা আসতে হবে তাদের থেকেই। ফাহিম স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছেন এমনটাই।

“খুব কঠিন প্রশ্ন। আমার মনে হয় তাদের প্রমাণ করতে হবে। তাদের বয়স দিক থেকে বলি, তাদের ফিটনেসের দিক থেকে বলি, তাদের পারফরম্যান্সের দিক থেকে বলি; এটা আমার কল না, এটা নির্বাচকদের কল। আমার মন্তব্য করাটা ঠিক না। কিন্তু এটা সহজ হবে না।”

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হন মাত্র ৪ রানে।

মুশফিক দুই ম্যাচ খেললেও কোনো ম্যাচেই দুই অঙ্কের ঘরের দেখা পাননি। ভারতের বিপক্ষে শূন্যর পর কিউইদের বিপক্ষে আউট হন মাত্র ২ রানে।

ফাহিম জানতে চান দুজনে আসলে কী ভাবছেন, “ওরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা সময় আসবেই তার ক্যারিয়ার শেষ করার। আমার মনে হয় ওদের সঙ্গে কথা বলবো— ওদের চিন্তা কী আছে সেটা নিয়ে আলাপ হবে। এটা আমি এই মুহূর্তে আলাপ করতে পারছি না।’’

এদিকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মেয়াদ ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। দুজনের ব্যাপারে ইতিবাচক ভাবনা বিসিবির। অর্থ্যৎ দুজনকেই রাখতে চায় বোর্ড।

ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট, যারা আমাদের সাথে আছে। তাদের সঙ্গে আমরা আবার যোগাযোগ করবো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যদি বোঝাপোড়ায় না আসতে পারি তাহলে আমরা বাইরে যোগাযোগ করবো। আমরা আশা করব যে যারা আমাদের সাথে ছিলেন তাদের সঙ্গে সন্তোষজনক আলাপ-আলোচনা করে সমাধান খুঁজতে পারব।”