মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ৩ দিন পার হলেও এখনো মামলা হয়নি।
পুলিশ বলছে, মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা হলেন- ভুক্তভোগীর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর।
মামলা হতে দেরি কেন? এমন প্রশ্নে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকায় মামলা হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করা হয়েছে।’’
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে শিশুটির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘‘শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।’’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ‘‘পাশবিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। তার গলার আঘাতও গুরুতর।’’
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে গতকাল মাগুরায় মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় ছাত্র–জনতা। এ সময় থানার মূল গেট ঘেরাও করে অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, সম্প্রতি শিশুটি তার বড় বোনের বাড়ি (শ্বশুরবাড়ি) বেড়াতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান ভুক্তভোগীর মা।
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তার যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এছাড়া, তার গলায় একটা দাগ ও শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড়ের চিহ্ন ছিল। তবে, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।