বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপুকে সাময়িকভাবে দলীয় পদ থেকে স্থগিত করা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সংগঠন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের প্রেরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে পদ স্থগিতের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক আচরণবিধি ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনজনিত কারণে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপুর বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, এজন্য এক কার্যদিবসের মধ্যে আহ্বায়ক বরাবর সদুত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে, শুক্রবার মধ্যরাতেই গোলাম কিবরিয়া অপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আমার এলাকার এক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেটের ব্যবসা করে। সে বেশ কয়েকদিন কল দিয়ে সাক্ষাৎ করতে চাচ্ছিলো। সময় দিতে পারিনি। আজকে তাকে অফিসে আসতে বলি। সে আজ অফিসে এসে আমাকে জানায়, তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে নতুন ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপু। গোলাম কিবরিয়া অপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।”
তিনি আরো বলেন, “ছেলেটি আজ (শুক্রবার) আমার কাছে এসে অভিযোগ দেয়। আমি তার কাছে তথ্যপ্রমাণ চাই। সে আমাকে রেকর্ড শোনায়। আমি তাকে বলি, অপুকে কল দাও। কল দিলে দেখি ঘটনা সত্য, সে ৫০ হাজার টাকা চায়, পরে ৩০ হাজার দেওয়ার জন্য বলে। এ সময় অফিসে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ফাহিম। ফাহিম কথোপকথন সংরক্ষণ করে রাখে।”
রাশেদ বলেন, “আমি বিষয়টি জানানোর জন্য সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকেরকে কল করি। তাকে না পেয়ে সংগঠনের সদস্য সচিব জাহিদ আহসানকে অবহিত করি। সে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এবং আমাকে তথ্যপ্রমাণ পাঠাতে বলে।”
রাশেদ আরো বলেন, “নতুন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নতুন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়েছে। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি। কিন্তু সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত কেউ ছাত্রলীগের স্টাইলে হলে দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত হোক, সেটি প্রত্যাশা করি না। আশা করি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ অপুর বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”