সারা বাংলা

ঝিনাইদহে ভুল অপারেশনে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, হাসপাতাল বন্ধ

ঝিনাইদহে ভুল অপারেশনে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, হাসপাতাল বন্ধ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় শ্রী উৎস ভট্টাচার্য নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কালীগঞ্জ শহরের ইকো ডায়াগনস্টিক ও ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

উৎস ভট্টাচার্য উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার উজ্জ্বল ভট্টাচার্যের ছেলে। সে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

নিহতের স্বজনেরা জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে নাকের পলিপাস অপারেশন করতে যায় উৎস। হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী রাজিবুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অপারেশন করার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উৎস মারা যায়। 

পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘উৎস মারা যাওয়ার পর তাকে চিকিৎসকরা যশোরে রেফার্ড করেন।’’

এ দিকে ঘটনা শুনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে আসেন উৎসের সহপাঠীরা। তারা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করে হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানান। সহপাঠীদের দাবির মুখে এক পর্যায়ে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিহতের বড় ভাই উন্মেষ ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উৎসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে নাকের পলিপাস অপারেশন করানোর পর মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছিল সে। মুখ দিয়ে নিশ্বাস নেওয়ায় দুই ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছিল। তখন পানি লাগিয়ে দিচ্ছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম স্যালাইন চলছে কিন্তু তার নিশ্বাস পড়ছে না। তখন হাসপাতালে দায়িত্বরতদের ডাক দিলে তারা আসে এবং বলে, কিচ্ছু হয়নি আপনার ভাইয়ের। সে অবশ হয়ে আছে। জ্ঞান ফিরলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এ সময় তারা ভিডিওকলের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করছিল বলে জানান উন্মেষ। তিনি বলেন, ‘তখন হাসপাতালে কোন চিকিৎসক ছিল না।’’

উন্মেষ অভিযোগ করে বলেন, ‘‘অবস্থা খারাপ দেখে বারবার আমরা বলেছি অন্য কোথাও ভাইকে নিয়ে যেতে। কিন্তু তারা বলেছে, কিছুই হয়নি। পরে চিকিৎসক এসে বলে, যশোরে নিয়ে যান। কিন্তু তার আগেই আমার ভাই মারা গেছে।’’

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিহতের স্বজনদের দাবির প্রেক্ষিতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী বের করে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’