মিডিয়া

সাংবাদিকদের বেতন বাড়াতে আরেকটি আন্দোলন করা উচিত: প্রেস সচিব

সাংবাদিকদের বেতন বাড়াতে আরেকটি আন্দোলন করা উচিত: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংবাদকর্মীদের বেতন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্যর্থ। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের রক্ত কীভাবে চুষে খাওয়া যায়, সেটা করা হচ্ছে। বছরের পর বছর চাকরি করলে বেতন দেয় না। বেতন বাড়ানোর জন্য আরেকটি আন্দোলন করা উচিত।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক সাংবাদিক যেন ভালো বেতন পান। মিনিমাম যাতে একটা ফ্লোর থাকে। দেশের সব সাংবাদিকের জন্য একটা ফ্লোর বেতন থাকতে হবে। একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। এটা ৩০ অথবা ৪০ হাজার-ই হোক। এর নিচে নামা যাবে না। এর নিচে যে দেবে সে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। গণঅভ্যুত্থানে টেলিভিশন বা পত্রিকা নয়, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টাররাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। গতকালও তারা আসল সত্য উন্মোচন করেছে। নাহলে শাহবাগের ঘটনায় পুলিশকেই দোষারোপ করা হতো। যাত্রাবাড়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভিডিও আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্রের অন্যতম দলিল ছিল।

মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সাদিক কাইয়ুম, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সাবরিনা বিনতে আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাফিল ফরাজী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ প্রমুখ।