সারা বাংলা

লক্ষ্মীপুরে অপহৃত স্কুলছাত্রী ২ মাস পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুরে অপহৃত স্কুলছাত্রী ২ মাস পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুরে অপহরণের প্রায় দুই মাস পর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. শাওন ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। পরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় সদর মডেল থানা পুলিশ।

বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভিকটিমকে অভিযুক্তরা দুই মাস আগে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। র‌্যাবের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহৃত ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার শাওন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের চরভূতা গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে ও রাব্বি একই এলাকার মো. সবুজের ছেলে। 

র‌্যাব ও থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও স্থানীয় চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা। বিদ্যালয়ের আসা-যাওয়ার পথে শাওন প্রায়ই তাকে প্রেম নিবেদনসহ উত্যক্ত করতো। ঘটনাটি ছাত্রী তার মাকে জানায়। পরে তার মা ঘটনাটি শাওনের বাবা ও ফুফুকে জানিয়েছে। কিন্তু তারা বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় মা বিয়েতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ জানুয়ারি বিদ্যালয় যাওয়ার পথে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাওন ও রাব্বিসহ চার জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। অপর অভিযুক্তরা হলেন, শাওনের বাবা মোসলেহ উদ্দিন ও ফুফু তাসলিমা বেগম। 

অপহরণের ২ মাস ৫ দিন পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) র‌্যাব অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাওন ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাটহাজারীর কামালপাড়া এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র‌্যাব অভিযুক্তদের সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু আসামিদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ জানান, ভূক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।