ঘরের মাঠেই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে)। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ৭ উইকেটে করা ১৯৬ রান তাড়া করতে গিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৬ রানে থামে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের ইনিংস। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ৫০ রানের বড় ব্যবধানে আরসিবির কাছে হারল সিএসকে। এই জয়ে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান মজবুত করল বিরাট কোহলিরা।
প্রায় ১৮ বছর আর দিনের হিসেবে ৬ হাজার ১৫৪ দিন পর, চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয় পেল বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ইতিহাসে আরসিবির প্রথম জয়টা এসেছিল এই মাঠেই। ২০০৮ সালের প্রথম আসরেই বেঙ্গালুরু পেয়েছিল সেই জয়। ২১ মে’র সেই ম্যাচে চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে চেন্নাইকে ১৪ রানে হারায় বেঙ্গালুরু।
টস জিতে প্রথম প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু চিদাম্বারামের মন্থর উইকেটে স্বাগতিকদের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকে আরসিবি। শুরুতেই সল্টের ব্যাটে ভর করে সাবলীলভাবেই এগোচ্ছিল বেঙ্গালুরু। ১৬ বলে ৩২ করা এই ইংলিশ ওপেনারকে মাত্র .০৯ সেকেন্ডে স্টাম্প করে দেন ধোনি।
ভালো শুরু করেছিলেন দেবদূত পাড়িক্কল। ১৪ বলে ২৭ করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দারুণ ক্যাচে ফেরান ঋতুরাজ। এরপর একের পর এক ক্যাচ মিস করে চেন্নাই। দীপক হুদা ও খলিল আহমেদের ছাড়া ক্যাচে দুবার জীবন পান রজত পাতিদার। ৩০ বল খেলে নূর আহমেদের বলে রাচীন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩১ রানে ফেরেন কোহলি। আফগান স্পিনারের বলেই বলেই বোল্ড হন লিয়াম লিভিংস্টেন। ৩২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করা পাতিদারকে সাজঘরের পথ দেখান পাথিরানা। শেষবেলায় টিম ডেভিড এসে ৮ বলে ২২ রান করেন। নূর নেন ৩ উইকেট।
বড় রান তাড়া করতে নেমে মানসিকভাবে খানিকটা পিছিয়েই ছিল চেন্নাই। তাদের আরও চাপে ফেলে দেন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। জস হ্যাজেলউড, ভূবেনেশ্বর কুমার, ইয়াশ দয়ালদের সামনে গুটিয়ে যায় চেন্নাই। দ্বিতীয় ওভারেই রাহুল ত্রিপাঠি ও ঋতুরাজকে ফেরান হ্যাজেলউড। এক ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিএসকে। দীপক ও স্যাম ক্যারেন টিকে থাকার চেষ্টা করলেও স্ট্রাইক রোটেড করতে পারছিল না। ভূবেনেশ্বরের বলে ৪ রান করে আউট হন দীপক। লিভিংস্টোনের বলে ৮ রান করে আউট হন ক্যারেন। মাত্র ৫২ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে ৩০ বলে ৪১ রান করে দয়ালের বলে রাচিন ফিরে গেলে বড় ধাক্কা খায় চেন্নাই। ওই ওভারেই কাটা পড়েন ১৯ রান শিবম দুবেও। দলীয় ৮০ রানে ৬ উইকেট হারায় সিএসকে। সেখান থেকে জাদেজা চেষ্টা করেছিলেন। তবে ১৯ বলে ২৫ করে হ্যাজেলউডের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একদম শেষদিকে নামা ধোনি ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে করেন ৩০ রান করে অপারাজিত ছিলেন।
হ্যাজেলউড ২১ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। দয়াল ও লিভিংস্টোন পেয়েছন ২টি করে উইকেট।