র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ঈদুল ফিতরের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে র্যাব সদস্য মোতায়েন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কন্ট্রোল রুম স্থাপন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, জাল টাকা বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণ এবং ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া সাইবার জগতে নজরদারি করছে র্যাব-১০। রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সদরঘাট থেকে ৫০টি রুটে ১৭৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। নৌপথে নির্বিঘ্ন যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও হয়রানি রোধে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে র্যাব-১০ এর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া ঈদকেন্দ্রিক দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, শ্যামপুর, ওয়ারী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও মাওয়া ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে ১০টি টিম ও সাদা পোশাকে ১০টি টিম নিয়োজিত রয়েছে।
ভ্রমণকালে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপসহ অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে একই সঙ্গে লঞ্চ-স্টিমার-স্পিডবোটসহ অন্যান্য নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে র্যাব।